শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৫ অপরাহ্ন

শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় আওয়ামী লীগ : ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলছেন, সহিংসতামুক্ত একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় আওয়ামী লীগ। তাই নির্বাচন বিরোধী কোনো প্রকার সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না। অপরাধ প্রমাণিত হলে সে যেই হোক পড়তে হবে শাস্তির আওতায়। গতকাল রোববার দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দলীয় কিংবা স্বতন্ত্র কারো প্রতিই কোনো পক্ষপাত করবে না আওয়ামী লীগ। নির্বাচনবিরোধী কোনো সহিংসতা করলে নিরবাচন কমিশন যে ব্যবস্থা নেবে তা সমর্থন করবে আওয়ামী লীগ। আইন ভঙ্গ করলে আইনের আওতায় পড়তে হবে।
নির্বাচনকে ঘিরে সারা দেশে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সর্বত্র নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই, কোনো সহিংসতা চাই না। নেত্রী সেটা বারবার বলছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী কিংবা প্রার্থীর কোনো সহযোগী যদি সহিংসতায় জড়ায়, তাহলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইনগত ব্যবস্থায় আমরা সমর্থন জানাই। যৌক্তিক কারণে কারো প্রার্থিতা গেলে আমাদের কিছু বলার নেই, ইসি স্বাধীন। তারেক রহমানের কথায় সাড়া দিলে বিএনপির আম-ছালা সব যাবে জানিয়ে কাদের বলেন, নির্বাচন ঠেকাতে লন্ডনে পলাতক তারেক রহমানের কথায় সাড়া দিলে বিএনপির নেতাকর্মীদের আম-ছালা সব যাবে। তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, বিদেশে বসে রিমোট কন্ট্রোলে উদ্ভট আন্দোলনের ডাক দিচ্ছেন, সাহস থাকলে দেশে আসেন না কেন? বাংলাদেশে খোমেনি স্টাইলের বিপ্লব হবে না। হয় রাজপথে, না হয় জেলে যেতে হবে, বিদেশে বসে আন্দোলন হবে না।
বিএনপির ডাকা অসহযোগ আন্দলেন নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা খাজনা-ট্যাক্স-ইউটিলিটি দেবে না, এটা তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি? দেশ কি আরেকবার স্বাধীন হচ্ছে? এটা কি বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ? তিনি বলেন, ট্যাক্স না দিলে জেলে যেতে হবে, ইউটিলিটি বিল না দিলে শাস্তি হবে। বিদ্যুৎ-পানির বিল না দিলে লাইন কেটে দেয়া হবে, সোজা কথা। ওবায়দুল কাদের বলেন, ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কিন্তু এদেশে আর ওয়ান ইলেভেন হবে না। পিটার হাস ভারতে গেছেন। কিন্তু ভারতের অবস্থান এক জায়গায়। তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সহিসংতার বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তদন্ত করছে। যারা দোষী হবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যে যা বলার বলুক, আমরা আমাদের লক্ষ্য-অভিমুখে অবিচল। আমাদের অগ্রযাত্রা থামবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা নির্বাচন বর্জন করছে, দেশের জনগণই তাদের বর্জন করতে শুরু করেছে। যারা সন্ত্রাস করছে, তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব আরও সংকুচিত হবে, অনিশ্চয়তা বাড়বে, নেতিবাচক রাজনীতির জন্য, সন্ত্রাসের পথ তারা বেছে নিয়েছে। এই সন্ত্রাসের রাজনীতি আর গণতন্ত্র বিপরীতমুখী। যারা সন্ত্রাস করে, তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না।
তিনি বলেন, দলের প্রার্থী কিংবা স্বতন্ত্র, যারা অনেকে আমাদের দলের, তাদেরকেও প্রতিদ্বন্ধী হিসেবে ভাবতে হবে। কোনো প্রকার বৈরী মনোভাব সমর্থনযোগ্য নয়। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। তারা যেই হোক, কোনো প্রকার পক্ষপাত নেয়া হবে না, আইন ভাঙলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইসির আইনগত পদক্ষেপকে আমরা সমর্থন করি। তিনি বলেন, সারা দুনিয়ার মতো আমাদের এখানেও ভোটারের স্ট্যান্ডার্ড উপস্থিতি হবে। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের সাথে তুলনা করলে হতাশ হতে হবে না, ভালো উপস্থিতি হবে। সূত্র : বাসস




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com