নির্বাচনের আর আট দিন বাকি থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের জন্য সরকারের হাতে এখনো সময় আছে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ৭ তারিখ অনেক দূরে আছে, কথায় আছে দিল্লি দূর অস্ত। আপনারা ভাবুন, চিন্তা করুন, আলোচনায় বসুন, সংলাপ করুন। এই হিংসাত্মক সাংঘর্ষিক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসুন। আপনাদেরকে অনুরোধ এই কারণে যে, আপনারা সরকারে আছেন, কাজেই মূল সিদ্ধান্ত গ্রহণের যে দায়িত্ব সেটা কিন্তু সরকারের ওপর বর্তায়।”
গতকাল শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ হয়তো ভয় পাচ্ছে। কারণ আজকে যদি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হেরে যাবে। তাই তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিচ্ছে না। সুতরাং যে যত কথাই বলুক না কেন, মূল কারণ তো এটাই। কিন্তু দেশের স্বার্থে সংঘাত বাদ দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতিতে ফিরে আসতে হবে।
তিনি বলেন, খোলাখুলিভাবে আমি আওয়ামী লীগের কাছে প্রশ্ন করছি, আপনাদের ভয় পাবার কারণ কী? এই নির্বাচনটা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করেন, দেখবেন যে পরবর্তী সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে এমনই হতে পারে যে, বাংলাদেশের মানুষ আবার খুশি হয়ে আপনাদেরকে ভোট দেবে। মানুষের যে চরিত্র এবং তাদের মনস্তাত্ত্বিক যে অবস্থা, সেটা আপনারা উপলব্ধি করে দেশে আপনারা রাজনীতি করুন, আমি তাদের কাছে এই অনুরোধ জানাবো।
সংবাদপত্রকে ফোর্থ স্টেট বলা হয় উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, বিলেতে দি কিং, দি চার্চ অ্যান্ড দি পিপল, তারপরে তাদের যে জবাবদিহিতা জনগণের কাছে রাজার এবং তখনকার দিনে চার্চ একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান ছিল, তাদের যে জবাবদিহিতা সেটা নিশ্চিত করার জন্য এসেছিল সংবাদপত্র। সেই জবাবদিহিতা করতে হবে কোথায়? জনগণের কাছে।
বলা বাহুল্য এই কারণে কিন্তু বিশ্বের প্রায় সব সরকার সংবাদপত্রকে ভয় পায়। মিডিয়া সরকারের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। মিডিয়ার হাতে বন্দুক নাই।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি এম আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব নুরুল আমিন রোকনের সঞ্চালনায় দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী, এমএ আজিজ, এলাহী নেওয়াজ খান সাজু, আবদুল হাই শিকদার, কামাল উদ্দিন সবুজ, বাকের হোসাইন, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, কাদের গণি চৌধুরী, শহীদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।