বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
কয়রায় সড়কের কাজ ফেলে ঠিকাদার লাপাত্তা, জনদুর্ভোগ চরমে ধনবাড়ীতে বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ঢেঁকি মৌলভীবাজার জেলার ৫ উপজেলা ও ৫ পৌর শাখা বিএনপির আহবায়ক কমিটি অনুমোদন নড়াইলে তারুণ্যের উৎসবে বালক-বালিকাদের সাইক্লিং প্রতিযোগিতা লোহাগাড়া প্রেসক্লাবের উদ্যােগে পত্রিকার হকার ও অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কালকিনিতে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুর্ধ্ব ১৭ এর ফাইনাল ম্যাচ নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াজেদকে ফুলেল শুভেচছা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান শ্রীমঙ্গলে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার অপরাধে লাখ টাকা জরিমানা শিক্ষকের দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং সাবেক এমপি’র তারাকান্দায় তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ শীর্ষক কর্মশালা

২০২৩ সালে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ১৪৩২ শ্রমিকের মৃত্যু

শাহ্জাহান সাজু:
  • আপডেট সময় শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩

অনিরাপদ কর্মক্ষেত্রের কারণে ২০২৩ সালে বিভিন্ন সেক্টরের এক হাজার ৪৩২ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৫০২ জন শ্রমিক। বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ অকুপেশনাল সেইফটি, হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (ওশি) ফাউন্ডেশনের এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ১৫টি সংবাদপত্র এবং ওশির উদ্যোগে মাঠপর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ওশি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারপারসন ড. এসএম মোর্শেদ প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ২০২৩ সালে কর্মক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিহত শ্রমিকের সংখ্যা ৩২৯ জন ও আহত শ্রমিকের সংখ্যা ২৭৭ জন। এছাড়া অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিহত শ্রমিকের সংখ্যা এক হাজার ১০৩ জন ও আহত শ্রমিকের সংখ্যা ২২৫ জন।
সেক্টরভিত্তিক তথ্য তুলে ধরে জানানো হয়, ২০২৩ সালে পরিবহনখাতে সর্বোচ্চ ৬৩৭ শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন ও আহত হয়েছেন ১২৭ জন। এ সময় ২২০ জন দিনমজুর নিহত হয়েছেন ও আহত হয়েছেন ৭৬ জন, নির্মাণখাতে নিহত ১৪৯ এবং আহত ৭২ জন, কৃষিশ্রমিক মৃত্যুর সংখ্যা ১৪৬ ও আহত হয়েছে ১০ জন (যাদের মধ্যে বজ্রপাতে মারা গেছেন ৭১ জন), পোশাকশিল্পে নিহত ৬৪ ও আহত ৮৯ জন, ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে নিহত ৯৪ ও আহত ১৫ জন। এছাড়াও মৎস্যখাতে নিহত ৫৩ ও আহত ২২ জন, সেবাখাতে নিহত ২৬ ও আহত ২২ জন, সিরামিকখাতে নিহত ১৭ ও আহত ০৯ জন, চামড়াশিল্পে নিহত ৪ ও আহত ১৭ জন, ইটভাটা বা ব্রিকফিল্ডে নিহত ১১ ও আহত ৬ জন, জাহাজভাঙ্গা বা শিপব্রেকিংএ নিহত ৭ ও আহত ২৯ জন, চা শ্রমিক নিহত ১ ও আহত ৬ জন, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিহত ৩ ও আহত ২ জন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরিবহন খাতে সর্বোচ্চ সংখ্যক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। ২০২৩ সালে এ খাতে নিহত ৬৩৭ ও আহত ১২৭ জন। অথচ ২০২২ সালে নিহত ১০৫ ও আহত ২৯ জন ছিল।
অর্থাৎ এটির সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
প্রতিবেদনে কর্মস্থলে হতাহতের উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে সড়ক দুর্ঘটনা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া, অগ্নিকা-, ভবন বা স্থাপনা থকে পড়ে যাওয়া, বজ্রপাত, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, সহিংসতা, গৃহশ্রমিকদের ক্ষেত্রে শারিরীক নির্যাতন, দেওয়াল-ভবন-ছাদ ও ভূমিধসের কথা বলা হয়েছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com