বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বর্তমান সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। যুবও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাকে। গত বুধবার (১০ জানুয়ারি) মন্ত্রী হিসেবে পাপনের নাম ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই ক্রীড়াঙ্গনে আলোচনা চলছিল তবে কী বোর্ড সভাপতির পদটা ছেড়েই দেবেন পাপন। যদি ছেড়েই দেন, তবে কে হবেন নতুন সভাপতি। এদিকে দীর্ঘ দিন ধরে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে বিসিবি সভাপতি করার দাবি তুলেছে ক্রিকেট প্রেমীরা। মাশরাফির পাশাপাশি সাকিব আল হাসানকে নিয়েও গুঞ্জন আছে।
তবে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার একদিন পর, শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে গণমাধ্যমে মুখোমুখি হয়েছেন পাপন। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ও বিসিবি সভাপতির পদ একইসাথৈ চালানো নিয়ে পাপন বলেন, ‘আইনে কোনো সমস্যা নেই এটাই হচ্ছে বড় কথা। কথা হচ্ছে একসাথে যদি দুটোতে থাকি তাহলে একটা স্বাভাবিকভাবেই মনে হতে পারে যে ক্রিকেটের প্রতি আমার দৃষ্টিটা একটু বেশি। এটা সকলের ধারণা এটা অস্বাভাবিক কিছু না।’
নতুন ক্রীড়ামন্ত্রী বলনে, ‘যদিও আমি বলে রাখি, আমি যদি এই ক্রিকেট বোর্ড, মন্ত্রালয়ে নাও থাকি তাও ক্রিকেট সবসময় আমার সাথে থাকবে। এটা মন থেকে তো আর সরানো যাবে না। সেটা আছে কিন্তু ভালো হয় যদি আলাদা হয়ে যায়। আলাদা হয়ে গেলে ভালো হবে। কারণ তাহলে আর মানুষের মধ্যে ওই সন্দেহটা হবে না- হয়তো ক্রিকেটকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। কারণ আমি গুরুত্ব সবগুলোকে দিতে চাই। তবে প্রায়োরিটি ভিত্তিক।’ বিসিবির নতুন বোর্ড প্রেসিডেন্ট নিয়োগ নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চান না পাপন। তিনি বলেন, ‘এখানে বেইসিক কয়েকটা ব্যাপার আছে, প্রথম কথা হচ্ছে ইচ্ছা করলেই ছেড়ে দেয়া যায় না এখন। সেটা আমরা জিম্বাবুয়ের ক্ষেত্রেও দেখেছি দুই বছর তারা প্রায় ব্যান (নিষিদ্ধ), শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও এবার দেখেছি। আমি মনে করি এমন কিছু তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবে না, যেটা দেশের ক্রিকেটের ক্ষতি করতে পারে। তবে অপশন কী কী আছে। একটা অপশন ওদের সাথে আমার কথাটা বলতে হবে। এখানে দুটো জিনিস আছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটা হচ্ছে আমাদের মেয়াদ যেটা সবসময় আইসিসি চায় তাদের ইলেকটেড বডির (নির্বাচিত কমিটি) ফুল মেয়াদটা। আর একটা হচ্ছে আইসিসির মেয়াদ।’ পাপন বর্তমান কমিটির মেয়াদের আগে বিসিবির দায়িত্ব ছাড়লে নতুন করে বোর্ড ডিরেক্টরদের থেকে কেউ দায়িত্বে আসবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। বিসিবি বস বলেন, ‘আমার মনে হয় একটা হতে পারে আইসিসির মেয়াদটা শেষ হয়ে গেলে তখন একটা চিন্তা করে ওদের সাথে কথা বলে বের হয়ে আসার সুযোগ আছে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই এখন যারা বোর্ডের ডাইরেক্টর আছে তাদের মধ্যে থেকে একজন হবে। মানে বাইরে থেকে কারো আসার কোনো সুযোগ নেই।’