বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৯ অপরাহ্ন

ডান্ডাবেড়ি পায়ে বাবার জানাজায় ছাত্রদল নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৪
ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় অংশ নিয়েছেন ছাত্রদল নেতা মো. নাজমুল মৃধা। গতকাল শনিবার বেলা তিনটার দিকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামে ছবি: সংগৃহীত

প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় অংশ নিয়েছেন ছাত্রদল নেতা মো. নাজমুল মৃধা। সময় সংক্ষিপ্ত হওয়ার কারণে নির্ধারিত জানাজার আগেই আয়োজন করা হয় বিশেষ জানাজার।
গতকাল শনিবার বেলা তিনটার দিকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামে ওই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার সময় নাজমুলের হাতকড়া খুলে দেওয়া হলেও খোলা হয়নি পায়ের ডান্ডাবেড়ি। মো. নাজমুল মৃধা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। জানাজা শেষে তাঁকে আবার পটুয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরিবার ও স্বজন সূত্রে জানা যায়, নাজমুল মৃধার বাবা মো. মোতালেব হোসেন মৃধা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। গতকাল শুক্রবার রাত নয়টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মোতালেব হোসেন দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য ছিলেন। ছেলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আজ বেলা তিনটার দিকে পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামে বিশেষ জানাজার আয়োজন করা হয়। পরে বিকেল সাড়ে চারটায় স্থানীয় সুবিদখালী সরকারি রহমান ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ছাত্রদল নেতা নাজমুল মৃধার বড় ভাই মো. রাসেল মৃধা প্রথম আলোকে বলেন, নাজমুল মৃধা মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। গত বছরের ২০ ডিসেম্বর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী এলাকায় তাঁদের বাড়ির সামনে থেকে নাজমুল মৃধাকে আটক করে পুলিশ। পরে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। বাবার জানাজায় অংশ নিতে এবং শেষ দেখার জন্য আজ বেলা একটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দেন আদালত। জানাজার সময় হাতকড়া খুলে দিলেও পায়ের ডান্ডাবেড়ি খুলে দেয়নি পুলিশ।
রাসেল মৃধা আরও বলেন, ‘আমার ভাই ছাত্রদলের রাজনীতি করার অপরাধে পায়ে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় তাঁকে বাবার জানাজায় অংশ নিতে হলো, এর চেয়ে দুঃখের, এর চেয়ে কষ্টের কী হতে পারে? ভাই আমার বাবার কবরে মাটিও দিয়ে যেতে পারল না। প্যারোলের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় শুধু ভাইয়ের জন্য ছোট পরিসরে একটি জানাজা নামাজের আয়োজন করা হয়েছিল। পরে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, নাজমুল মৃধাকে পাঁচ ঘণ্টার জন্য শর্ত সাপেক্ষে জামিন দিয়েছিলেন আদালত। নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁর পায়ের ডান্ডাবেড়ি খুলে দেওয়া হয়নি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com