উত্তরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত মেট্রারেল সম্প্রসারণের জন্য সমীক্ষা চলছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল শনিবার (২০ জানুয়ারি) উত্তরার দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেলের ডিপোতে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিত অংশের নির্মাণ কাজ আগামী বছরের জুনে শেষ হবে। বিশ্ব ইজতেমা, বইমেলাসহ বিভিন্ন দিবসে মেট্রোরেলের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়টি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, মেট্রোরেলে যাত্রীদের সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। ২০৩০ সাল নাগাদ চালু হবে মেট্রোরেলের ছয়টি লাইন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মেট্রোরেল একটি অনন্য মাইলফলক উল্লেখ করে মন্ত্রী সময় সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব মেট্রো ট্রেনে নিয়মিত যাতায়াতের জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরী ও তৎসংলগ্ন পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে ও পরিবেশ উন্নয়নে অত্যাধুনিক গণপরিবহন হিসেবে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এর আওতায় ছয়টি মেট্রোরেলের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে সরকার সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ২০৩০ গ্রহণ করেছে।
‘এই কর্মপরিকল্পনা অনুসরণে এমআরটি লাইন-৬, এমআরটি লাইন-১, এমআরটি লাইন-৫: নর্দার্ন রুট এবং এমআরটি লাইন-৫: সাউদার্ন রুট এর নির্মাণ কাজ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এগিয়ে চলছে। অপর দুইটি মেট্রোরেল লাইন এমআরটি লাইন-২ এবং এমআরটি লাইন-৪ নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করার জন্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।’ যোগ করেন তিনি। এমআরটি লাইন-৬ মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১.১৬ কিলোমিটার বর্ধিত করার কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ২৫ শতাংশ। আগামী বছরের জুনে এই অংশের উদ্বোধন করা যাবে।
বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৯.৮৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন ১-এর পাতাল অংশের কাজ শিগগিরই শুরু করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।