রাজধানীর অদূরে পূর্বাচলে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার (২১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। মেলায় সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া এবং ভারতসহ কয়েকটি দেশের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
উল্লেখ্য, মেলায় যাতায়াত সুবিধার জন্য গতবারের মতো শাটল বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা থাকবে। কুড়িল বিশ্ব রোড হতে এক্সিবিশন সেন্টার পর্যন্ত বিআরটিসি বাস চলাচল করবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে, তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে। পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) চলছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। রোববার (২১ জানুয়ারি) মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শনিবার (২০ জানুয়ারি) মেলা ঘুরে দেখা গেছে, বাণিজ্যমেলা উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে অনেকটা তড়িঘড়ি করে চলছে স্টল নির্মাণের কাজ। অনেক স্টল পুরোপুরি গোছানো হলেও কিছু স্টলে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি।
স্টলের দায়িত্বপ্রাপ্তরা বলছেন, আজ রোববার মেলার উদ্বোধন তাই আজকের মধ্যেই স্টলের কাজ শেষ করতে চান তারা। এবারের বাণিজ্যমেলার লে-আউট প্ল্যান অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন, রেস্টুরেন্ট ও স্টলের মোট সংখ্যা ৩৫১ এবং দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মোট বরাদ্দকৃত প্যাভিলিয়ন, রেস্টুরেন্ট ও স্টলের সংখ্যা ৩০০টি।
হোম টেক্সটাইলের দায়িত্বে থাকা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কাজ অনেকটাই শেষ। আজকের মধ্যেই আমাদের কাজ শেষ হবে আশা করছি। স্টলের কাজও মোটামুটি শেষ। এখন পণ্য সাজানো বাকি।’
জেরিন ফ্যাশনের রাহাত হোসেন বলেন, ‘আমাদের স্টল প্রস্তুত। যতুটুকু কাজ বাকি সেগুলো আজকের মধ্যেই গুছিয়ে নেবো। আশা করি সুন্দর স্টলের মাধ্যমে আগত ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারব।’
ইপিবি জানিয়েছে, এবারের বাণিজ্যমেলায় দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুর, নেপালসহ বিভিন্ন দেশ অংশ নেবে। পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি দেশীয় পণ্য রপ্তানির বড় বাজার খোঁজার লক্ষ্য রয়েছে।
জানা গেছে, দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিকস অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহ সামগ্রী, চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর, ফার্নিচার ইত্যাদি পণ্য মেলায় প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে।
দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন, উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবির যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এ মেলা হতো শেরেবাংলা নগরে। কোভিড মহামারির কারণে ২০২১ সালে মেলার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এরপর মহামারির বিধিনিষেধের মধ্যে ২০২২ সালে প্রথমবার মেলার আয়োজন করা হয় পূর্বাচলে বিবিসিএফইসিতে। এবার তৃতীয়বারের মতো স্থায়ী ভেন্যু বাংলাদেশ-চীন এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্যমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চীনের অর্থায়নে পূর্বাচলে স্থায়ী বাণিজ্যমেলা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি বছর এখানেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার আসর বসবে