মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন

বিদেশে বসে অপপ্রচার করলে সরাসরি আইনানুগ ব্যবস্থার এখতিয়ার নেই: সংসদে আরাফাত

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

বিদেশে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর অপতথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে সরাসরি আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো এখতিয়ার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নেই বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তথ্য অধিদপ্তরের অধীনে ফ্যাক্ট চেকিং কমিটি রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে-বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে গুজব ও বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার রোধে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে সরকার।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য চয়ন ইসলামের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের অভ্যন্তরে বসে অপপ্রচার বা অন্তর্ঘাতমূলক কোনো কর্মকা- করলে তা প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু বিদেশের মাটিতে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার এখনো গড়ে (ব্যবস্থা গ্রহণের সক্ষমতা) ওঠেনি। তবে, এ বিষয়ে সরকার অত্যন্ত সজাগ। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে অপপ্রচারের জবাব তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমেই রোধ করা সম্ভব। প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে অচিরেই অপপ্রচার বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
চয়ন ইসলামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, কেবল বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বই অপপ্রচার ও গুজব নিয়ে খুবই চিহ্নিত। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈঠকে মিস ইনফরমেশন ও ডিস ইনফরমেশনকে আগামী-দিনের এক নম্বর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গত ১৫ বছর ধরে আমরা নিজেরা আক্রান্ত। আমরা সবাই এ বিষয়ে অবগত আছি। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে অংশী-জনের সঙ্গে এটা নিয়ে কথা বলেছি। দেশকে অসত্য ও গুজব মুক্ত করতে পারলে দেশে মক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির কোনো জায়গা হবে না। কারণ এ অপশক্তি কেবল অসত্য ও গুজবের ওপর ভিত্তি করে তাদের জায়গা করে নিয়েছে। তারা বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও জয়বাংলাসহ সব সত্যগুলোর মধ্যে বিভ্রান্তি ঢুকিয়েছে। প্রযুক্তির অপব্যবহার করে তারা এটা করছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যেমন গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে গুজবকে প্রতিহত ও ডিস-ইনফরমেশনকে আটকে দেওয়া একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। এজন্য আইন, স্বরাষ্ট্র ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতার প্রয়োজন হবে। আমরা এরই মধ্যে কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করছি, শিগগির একটি জায়গায় যেতে পারবো। যাতে এদেশে অবাধ তথ্যপ্রবাহ হয় আবার মিস-ইনফরমেশনকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে পারি।
বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি প্রশ্নে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি সরকারের নজরে আছে। হয়তো এসব আইডিতে ইতিবাচকভাবে পোস্টগুলো হচ্ছে। কিন্তু কখনো কখনো এটা মধ্যে অনিশ্চিয়তা থাকে। আমরা বলতে পারছি না সবসময় ইতিবাচক পোস্ট দেবে কী না। কাজেই এটা জানাটা খুবই জরুরি। কোন উৎস থেকে এটা খোলা হয়েছে। বলেও দেওয়া আছে এ ধরনের কোনো অ্যাকাউন্ট অনুমতি ছাড়া খোলা যাবে না। তথ্য মন্ত্রণালয়ের হাতে এগুলো বন্ধ করার মত সক্ষমতা নেই। আমরা এগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখবো। স্বরাষ্ট্র, আইন ও আইসিটি বিভাগের সমন্বয়ে এর মাধ্যমে একটা সমাধান বের করবো। যাতে এ ধরনের সুযোগ আর ভবিষ্যতে তৈরি না হয়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com