রাজনীতির জটিল সমীকরণ নিয়ে ইতিমধ্যে স্বরূপকাঠি উপজেলার রাজনীতির মাঠ দারুণ হিসাব নিকাশ শুরু হয়ে গেছে। আর সেই কারণে স্বরূপকাঠি উপজেলার নির্বাচনে সাধারণ ভোটাররা এবার দারুণ ভাবে নড়েচড়ে বসেছেন। মনের বহিঃপ্রকাশ প্রকাশ ঘটানোর মোক্ষম সময় এসেছে। আর সেই সূত্র ধরেই পৌর সভা সহ ১০ টি ইউনিয়নের মধ্যে সাধারণ ভোটাররা হিসাব কষতে শুরু করে দিয়েছেন। সার্বিক বিবেচনা অনুযায়ী গত উপজেলা নির্বাচন আর এবারের নির্বাচন এক হওয়ার নয়।আর সেই কারণে সাধারণ ভোটাররা একজন চমৎকার, জনদরদীএবং ধর্মানুরাগী সমাজ সেবকের অপেক্ষায় ছিলো। গত রবিবার সুটিয়াকাঠী ইউনিয়নের মধ্যে ঘটে গেল এক ধরনের মহা মিলনমেলার দোয়া অনুষ্ঠান। দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের সমন্বয়ে দোয়া অনুষ্ঠানে মানুষের ঢল নামে সুটিয়াকাঠীতে। সরেজমিনে যাওয়া জেলার ও স্থানীয় বহু গণ মাধ্যম কর্মীরা সমগ্র বিষয়টি তুলে ধরলেন সুপ্রিয় পাঠকদের জন্য। আর হ্যা আমরাও সেই জনদরদী ও কর্মী বান্ধব নেতার কথাই বলছিলাম। রবিবারের দোয়ার অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষের প্রাণের দাবী ছিল, উপজেলা নির্বাচনে আলহাজ্ব মোঃ মাহমুদ কবিরকে পাওয়ার বাসনা। গণ মানুষের ভালবাসার আস্থার প্রতিক মোঃ মাহমুদ কবির। সুটিয়াকাঠী ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সাধারণ ভোটাররাও গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমরা পরিবর্তন চাই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে। আমরা সকলেই আটঘাট বেধে নেমেছি একজন মাহমুদ কবিরকে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে পাওয়ার বাসনা নিয়ে। এব্যাপারে কথা হয় মিলাদ ও দোয়ার অনুষ্ঠানে আসা বহু শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সহ সাধারণ মানুষের সাথে। বহু লোকজন নাম না প্রকাশের শর্তে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমরা বেশীরভাগ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সহ সাধারণ মানুষ নুতন মুখের যোগ্য, ধার্মিক চেয়ারম্যান প্রার্থী চাই। আসলে যোগ্য প্রার্থীর সংকট থাকার কারণে আমরা বহু দিন ধরে একত্রিত হওয়ার সুযোগ পাইনি। কিন্তু রবিবার সুটিয়াকাঠী ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের জন্য একত্রিত হওয়ার আহবান জানাই। আর সেই কারণে আজকের দোয়া ও মিলাদের আয়োজন। আসলে আমাদের সকলের প্রাণের দাবী, স্বরূপকাঠি উপজেলার নির্বাচনে একজন মাহমুদ কবিরের দরকার। আর সেই কারণে আমরা আমাদের সকলের সুনজরে থাকা আলহাজ্ব মোঃ মাহমুদ কবির ভাইকে অনুরোধ করি উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার জন্য। আমরা সকলেই একত্রিত হবো আপনাকে নিয়ে। স্বরূপকাঠি উপজেলার গর্ব এবং সাধারণ মানুষের আস্থা আলহাজ্ব মোঃ মাহমুদ কবির আমাদের অনুরোধ রক্ষা করেন।আর সেই কারণে আজকের দোয়া ও মিলাদের আয়োজন সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করে। সুটিয়াকাঠী ইউনিয়নের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী বহু ইউনিয়ন থেকে বহু শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সহ সাধারণ মানুষেরা হাজির হয় দোয়া ও মিলাদের অনুষ্ঠানে। এছাড়াও সোহাগদল ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আঃ রশিদ উপস্থিত দৈনিক বাংলাদেশের আলো, দৈনিক খবরপত্র পত্রিকার জেলা ও উপজেলার গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আসলেই আমি আলহাজ্ব মোঃ মাহমুদ কবিরের অনুরোধে দোয়ার অনুষ্ঠানে আসি। আমি সত্যি সত্যিই মুগ্ধ আজকের আয়োজন দেখে। এছাড়াও সোহাগদল ইউনিয়নের বহু জনপ্রতিনিধিরাও সহমত প্রকাশ করেন। অবশ্য ভিন্ন কথা বললেন সুটিয়াকাঠী ইউনিয়নের বহু বর্তমান জনপ্রতিনিধি সহ সাবেক বহু জনপ্রতিনিধিরা। গণমাধ্যম কর্মীদের অকপটে বলেন, আজকের আয়োজন সর্বস্তরের মানুষের মিলন মেলার চমৎকার আয়োজন। দোয়া ও মিলাদের অনুষ্ঠানে আমরা সকলেই আন্তরিকতার সঙ্গে উপস্থিত হয়েছি। নাম না প্রকাশের শর্তে বহু শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সহ সাধারণ ভোটাররা বলেন, আমরা পরিবর্তন চাই উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে। আমরা সকলেই একত্রিত হয়েছি আগামী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আলহাজ্ব মোঃ মাহমুদ কবিরকে চাই। আমদের সকলের প্রাণের দাবী, আগামী উপজেলা নির্বাচনে একজন মাহমুদ কবিরের দরকার। এদিকে সুটিয়াকাঠীর মধ্যে আলহাজ্ব মোঃ মাহমুদ কবিরের নিজস্ব উঠোনে ঘরোয়া পরিবেশের মধ্যে চমৎকার আয়োজন দোয়া ও মিলাদের অনুষ্ঠান।সত্যি সত্যিই গত রবিবারের আয়োজন সমগ্র উপজেলার মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করে।আলোচনার ঝড় সৃষ্টি করে একজন মাহমুদ কবিরকে নিয়ে। প্রায় আট হাজার লোকের জন্য তবারকের আয়োজন করা হয়। শান্তি পূর্ণ পরিবেশ তৈরি করে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করা হয়। স্থানীয় জনতার প্রাণের দাবীর কথা ঠান্ডা মাথায় শুনেন জনপ্রিয় ও সুটিয়াকাঠী ইউনিয়নের সম্পদ আলহাজ্ব মোঃ মাহমুদ কবির। সকলের দাবী মানবতার ফেরিওয়ালা আলহাজ্ব মোঃ মাহমুদ কবিরকে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়। মিলাদ ও দোয়ার অনুষ্ঠানের শুরুতে বিভিন্ন ওয়ার্ডের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। স্থানীয় সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা গঠন মূলক বক্তব্য তুলে ধরলেন উপস্থিত সকলের সন্মানে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী কথা হয় সুটিয়াকাঠী ইউনিয়নের গণ মানুষের আস্থার প্রতিক আলহাজ্ব মোঃ মাহমুদ কবিরের সাথে। তিনি চমৎকার বাচনভঙ্গি ও সুমধুর শব্দ চয়নের মধ্য দিয়ে পরিপাটি পরিবেশ তৈরি করে সকলের প্রশ্নের গঠন মূলক জবাব দেন। তিনি সকলের জ্ঞতার্থে বলেন, আমি মানুষের জন্য সার্বিক সহযোগিতা করে যেতে চাই। আমার ওয়ার্ড সহ সমগ্র ইউনিয়নের মধ্যে সাধারণ মানুষের ভালবাসার প্রতিদান দেওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর। আমার পাশাপাশি হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করাই আমার অন্যতম কাজ। আমি মানুষের ভালবাসার আস্থার প্রতিদান দেওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর তবে রাজনীতি করার পক্ষে নই। সেবা করবো হত দরিদ্র মানুষের জন্য কিন্তু ভোটের জন্য নয়। তিনি আরও বলেন আজকের দোয়া ও মিলাদের অনুষ্ঠানে আপনাদের উপস্থিতি আমাকে ধন্য করেছে। আপনাদের সকলের কাছে আবারও ঋণী হয়ে গেলাম। আপনাদের সকলের অনুরোধ রাখার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। অবশ্য স্বরূপকাঠি উপজেলার নির্বাচন কিন্তু ছেলে খেলা নয়। সকলের আন্তরিকতা সহ নির্ভেজাল ভালবাসা দরকার। একটা পৌরসভা সহ দশটি ইউনিয়নের লক্ষ লক্ষ ভোটারদের চাওয়া পাওয়ার হিসাব নিকাশ। আসলে আজকের আপনাদের উপস্থিতি আমাকে আগামী দিনের জন্য সুন্দর পথ চলার সাহস যোগাবে মহান আল্লাহর নাম নিয়ে।