জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে এক কৃষক এই আধুনিক যুগেও ঘোড়া দিয়ে হালচাষ করছেন।
দিনাজপুর বীরগঞ্জ উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ মানিক বলেন- জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার পলাশবাড়ী গ্রামের কৃষক ইসমাইল হোসেন নিজের জমিতে গরুর বদলে ঘোড়া দিয়ে হালচাষের কাজ করছেন। তার গরুর বদলে ঘোড়া দিয়ে হালচাষ দেখে ওই গ্রামে আরো দু’জন কৃষক সাহেব আলী ও নরেন্দ্র সরকার কয়েকদিন হলো তারাও দুই জোড়া ঘোড়া কিনেছেন।
ইসমাইল হোসেন বলেন, আমি একজন প্রান্তিক কৃষক।আগে আমার হালের গরু ছিল, এখন নেই। বাজারে গরুর তুলনায় ঘোড়ার দাম অনেক কম। তাই আমি দীর্ঘদিন ধরে ঘোড়া দিয়ে জমি চাষ করে আসছি।প্রথম দিকে ঘোড়াগুলোকে হালের কসরত শেখাতে অনেক কষ্ট হয়েছে। ঘোড়ায় লাঙল-জোয়াল জুড়ে দিয়ে অনেকবার চেষ্টার পর আয়ত্তে আসে। এখন পুরোদমে ঘোড়া দিয়ে হালচাষ করছি।
দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. নুরুজ্জামান বলেন, কৃষকেরা এখন যান্ত্রিক উপায়ে জমি চাষ করেন। ঘোড়া দিয়ে হালচাষ করা অপ্রচলিত একটা বিষয়। সময়ের সঙ্গে ঘোড়ার যে ব্যবহার, তা উঠে গেছে। কৃষক ইসমাইল হোসেন নিজের প্রয়োজনে বাড়তি আয়ের জন্য ঘোড়া দিয়ে জমি চাষ বা মই দেন। তবে কৃষি বিভাগ সব সময় আধুনিক মানের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে চাষাবাদ করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়।