আফগানিস্তানকে অল্প রানে বেঁধে ফেলে জয়ের স্বপ্নই দেখছিল আয়ারল্যান্ড। হাঁটছিল সেই পথেই, তবে হঠাৎ ঝড়ে সব যেন এলোমেলো হয়ে গেল। ২ উইকেটে ৯৩ রান তোলা আইরিশরা পরের ২৬ রান তুলতেই হারালো সব কয়টি উইকেট। ১১৭ রানের বড় জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিল আফগানিস্তান। প্রথম ওয়ানডেতে আফগানিস্তান জয় পেলেও দ্বিতীয় ওয়ানডে বৃষ্টির কারণে বাতিল হয়। শেষ ওয়ানডেটা ছিল তাই সিরিজ নির্ধারণী। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মঙ্গলবার শারজাহতে টসে জিতে আয়ারল্যান্ড। আইরিশ অধিনায়ক পল স্টার্লিং আফগানিস্তানকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায়।
তবে এদিন আফগানদের বেশিদূর উড়তে দেয়নি আইরিশ বোলাররা। মার্ক আডির ও ম্যাকার্থির দারুণ বোলিংয়ে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৩৬ রানেই থামে আফগানিস্তান। জবাবে ভালো শুরুর পরও মাত্র ৩৫ ওভারে মাত্র ১১৯ রামে গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। আধুনিক ক্রিকেটে ২৩৭ রান তুলনামূলক সহজ লক্ষ্য তো বলাই যায়। ২১.৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৯৩ রান তুলে ফেলার পর যা হয়ে উঠেছিল আরো সহজ। কিন্তু এরপর মোহাম্মদ নবী ও অভিষিক্ত নানগেয়ালিয়া খারোতে মিলে যা করলেন, তা রীতিমতো পিলে চমকানো!
ফারুকি শুরুতেই বালবির্নিকে (৪) ফেরালেও পল স্টার্লিং ও কার্টিস ক্যাম্ফার মিলে জয়ের পথেই রাখেন আয়ারল্যান্ডকে। দু’জনের জুটিতে আসে ৭৩ রান। তবে ৫৩ বলে ৫০ করে স্টার্লিং ফিরতেই বাঁধে বিপত্তি। তাকে ফিরিয়েই নিজের কারিশমা দেখাতে শুরু করেন নবী। এরপর ক্যাম্ফারকে ৯৩ রানের মাথায় ফিরিয়ে ধস নামান নানগেয়ালিয়া। ক্যাম্ফার আউট হন ৪৩ রানে। এখানেই শেষ আইরিশ অধ্যায়। পরের ব্যাটারদের আর কেউ দুই অংকের ঘরে যেতে পারেননি। ২৬ রান তুলতেই শেষ ৮ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। নবী ১৭ রানে নেন ৫ উইকেট, যা তার ক্যারিয়ার সেরা। আর অভিষিক্ত নানগেয়ালিয়া ৩০ রানে নেন ৪ উইকেট। এর আগে ব্যাট হাতেও দলকে পথ দেখান নবি। ৯৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা আফগানিস্তান দুই শ’ পাড় হয় তার ব্যাটে। যেখানে বড় অবদান আছে অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শাহিদিরও। দু’জনের জুটিতে আসে ১২৭ বলে ৯৭ রান। নবী আউট হন ৬২ বলে ৪৮ রানে। তবে শাহিদি তুলে নেন ফিফটি। করেন ১০৩ বকে ৬৯ রান।
এর আগে ফিফটির দেখা পান রাহমানুল্লাহ গুরবাজও। ইবরাহিম জাদরানকে নিয়ে ৬২ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন তিনি। জাদরান ৩১ বলে ২২ করে ফিরেন, গুরবাজের ব্যাটে আসে ৫৩ বলে ৫১ রান।