সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিয়েছে এডুকেশন ওয়াচ ইসলামী ব্যাংকে শরী‘আহ পরিপালন বিষয়ক ওয়েবিনার বিশেষ সিএসআর তহবিলের আওতায় গবেষণা খাতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করলো সাউথইস্ট ব্যাংক মাইলস্টোন কলেজে জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংবর্ধনা জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের নিচে নেমে গেছে চালের উৎপাদন প্রবৃদ্ধি উপকূলের উন্নয়নে জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবি চিকিৎসা শেষে সস্ত্রীক দেশে ফিরলেন আব্বাস ডিসি-ইউএনওদের দামি গাড়ি দেয়ার সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় : অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন সরকারের ক্ষমতার পেরেক যেকোনো সময় ভেঙে যাবে : রিজভী কুমিল্লায় ডা. আবু নাঈমের বাগানের কচুরিপানা দর্শনার্থীকে বিমোহিত করে

স্যাটেলাইট নিয়ে সুন্দরবন থেকে পালিয়েছে কুমির

ইলিয়াচ হোসেন মোংলা
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

কুমিরের আচরণ ও গতিবিধি জানতে সম্প্রতি চারটি কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে সুন্দরবনে ছেড়ে দেয়া হয়েছিলো। এর মধ্যে তিনটি সুন্দরবনের ভিতরে ঘুরে বেড়ালেও এর একটি কুমির বন ছেড়ে মোংলা, বাগেরহাট, মোড়েলগঞ্জ হয়ে এখন পিরোজপুরে ঢুকে পড়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন করমজল বণ্য প্রাণী কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির। বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে আজাদ কবির বলেন ‘ সুন্দরবনের লোনা পানির চারটি কুমিরের শরীরে স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগানোর পরে দেখা যাচ্ছে, এর তিনটি সুন্দরবনে ফিরে গেলেও একটি বহু পথ ঘুরে এখন বরিশাল বিভাগের জেলা পিরোজপুরে ঘোরাফেরা করছে। মাত্র এগারো দিনে প্রায় একশো কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে কুমিরটি। গায়ে বসানো স্যাটেলাইটের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে কুমিরটি বুধবার সকালে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার তুষখালির একটি নদীতে রয়েছে। আজাদ কবিরের মতে , নির্দিষ্ট সময় পর হয়তো আবারো সুন্দরবনে ফিরে আসতে পারে কুমিরটি। তবে আপাতত সে তার নিজের জন্য নিরাপদ পরিবেশ খুঁজছে। গত ১৬ মার্চ স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে কুমিরটি অবমুক্ত করা হয়েছিলো সুন্দরবনের হারবাড়িয়া পয়েন্টে। এর আগে এ কুমিরটিরে ঝালোকাঠি জেলার একটি নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে নদীতে অবমুক্ত করার কাজটি যৌথভাবে করছে বন বিভাগ ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনসারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন)। তাদের সহযোগিতা করছে, জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকনোমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (জিআইজেড)। আজাদ কবির বলেন, “সুন্দরবনের কুমির কোথায়, কিভাবে বিচরণ করে তা নিয়ে বিস্তারিত কোন গবেষণা হয় নি। সে কারণেই স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে এই গবেষণাটি করা হচ্ছে”। বিশ্বে পাখি, কচ্ছপ, নেকড়েসহ বিভিন্ন প্রাণীর শরীরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে তাদের আচরণ নিয়ে গবেষণার নজীর রয়েছে। তবে বাংলাদেশের কুমির নিয়ে এভাবে গবেষণা এই প্রথম করা হচ্ছে। গত ১৩ থেকে ১৬ই মার্চের মধ্যে মোট চারটি লোনা পানির কুমিরে এই স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো হয়। এই চারটি কুমিরের মধ্যে দুটি পুরুষ এবং দুইটি স্ত্রী কুমির। এদের মধ্যে পুরুষ কুমির জুলিয়েট সুন্দরবনের করমজলে অবস্থিত দেশের একমাত্র সরকারি কুমির প্রজনন কেন্দ্রের পুকুরে ছিল। আর স্ত্রী কুমির মধুকে সম্প্রতি যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ির মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ির এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com