লিওনেল মেসির পাঁচ এ্যাসিস্ট ও এক গোলের সাথে লুইস সুয়ারেজের হ্যাটট্রিকে নিউ ইয়র্ক রেড বুলসকে শনিবার মেজর লিগ সকারে ৬-২ ব্যবধানে বিধ্বস্ত করেছে ইন্টার মিয়ামি। মিয়ামির সবগুলো গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। প্রথমার্ধে নিউইয়র্ক ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল। স্কোরশিটে বাকি দুই গোল দিয়েছেন মাটিয়াস রোয়াস।
এর আগে মার্চে মেসিবিহীন মিয়ামি রেড বুলসের কাছে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল। কাল বড় জয়ে নিউইয়র্কের বিপক্ষে মধুর প্রতিশোধও নিয়ে নিলো মিয়ামি। মেসির পাঁচ এ্যাসিস্ট এমএএলএস’র কোনো ম্যাচে একটি নতুন রেকর্ড। এবারের মৌসুমে এ নিয়ে আট লিগ ম্যাচে ১০ গোল ছাড়াও ১২টি এ্যাসিস্ট করলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। পুরো ম্যাচে মেসি ও সুয়ারেজের দুর্দান্ত কেমিস্ট্রি দেখেছে মিয়ামি সমর্থকরা। বার্সেলোনার সাবেক দুই সতীর্থ যেন তাদের পুরনো দিনে ফিরে গিয়েছিলেন। রেড বুলসের জন্য এই দুজনকে প্রতিরোধ করা অসম্ভব হয়ে গিয়েছিল। ম্যাচ শেষে মেসির পাঁচ এ্যাসিস্ট প্রসঙ্গে সুয়ারেজ বলেছেন, ‘অবশ্যই আজ মেসি সবাইকে বিস্মিত করেছে। কারণ এ ধরনের ম্যাচ সাধারণত ফুটবলে দেখা যায় না। যদিও একজন সতীর্থ হিসেবে মেসির এসব বিষয় আমাকে বিস্মিত করে না। যারা তাকে চেনে তারা সবাই এসব সম্পর্কে জানে।’ মিয়ামি হয়ে এ পর্যন্ত ১১ লিগ ম্যাচে ১০ গোল করলেন ৩৭ বছর বয়সী সুয়ারেজ। এই দুই তারকাকে যখন একত্রে খেলানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন মিয়ামির দুই মালিক জর্জ ম্যাস ও ডেভিড বেকহ্যাম তখনই হয়তো এমন একটি দিনের অপেক্ষায় ছিলেন তারা।
ফোর্ড লডারডেলে চেস স্টেডিয়ামে সুইডিশ প্লেমেকার এমির ফোর্সবার্গের দুর্দান্ত পাসে ৩০ মিনিটে দাতে ভানজেইরের গোলে এগিয়ে যায় রেড বুলস। এই গোলের পর মনে হয়নি ম্যাচের শেষটা এমন হবে। মিয়ামি কোচ জেরার্ডো মার্টিনোর দ্বিতীয়ার্ধের এক পরিবর্তনে পুরো ম্যাচের চিত্র পাল্টে যায়। মাঠে নেমেই তিন মিনিটের মধ্যে মেসির পাসে মিয়ামিকে সমতায় ফেরান প্যারাগুইয়ান রোয়াস। ২৫ গজ দুর থেকে তার করা শটটি আটকানোর সাধ্য ছিল না নিউইয়র্কের গোলরক্ষক কার্লোস কোরোনেলের। দুই মিনিট পর সুয়ারেজের পাস থেকে মেসি মিয়ামিকে এগিয়ে দেন। আটবারের ব্যালন ডি’অর মেসি এরপর একের পর এক বলের যোগান দিয়ে মিয়ামিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। দুর্দান্ত এক থ্রু বলে প্রথমে রোয়াসকে দিয়ে গোল করান। এরপর ১২ মিনিটের ব্যবধানে সুয়ারেজের হ্যাটট্রিক সম্পন্ন হয়েছে। ৬৮ মিনিটে সুয়ারেজ তার প্রথম গোলটি করেন। এরপর ৭৫ ও ৮১ মিনিটে আরো দুই গোল করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন। ইনজুরি টাইমের একেবারে শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে ফোর্সবার্গ নিউইয়র্কের হয়ে সান্তনার এক গোল পরিশোধ করেছেন।