খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাট জেলায় বোরো ধানের এবারও বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ। বৈশাখ মাসের মেঘাছন্ন আকাশের কারণে স্বপ্নের ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় স্থানীয় কৃষকরা। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পাকা ধান দ্রুত কাটার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি ২০২৩-২০২৪ রবি ফসল চাষ মৌসুমে ৬৯ হাজার ৭ শ ২৫ হেক্টর জমিতে এবার বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর । খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা হিসেবে পরিচিত জয়পুরহাটে কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সর্বশেষ জেলায় ৬৯ হাজার ৬০৫ হেক্টর জমিতে এবার বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এতে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৩ লাখ মে.টন। জয়পুরহাট জেলার বোরো ধানের সারা মাঠ এখন সোনালী রং ধারণ করেছে। হঠাৎ করেই বৈশাখ মাসের মেঘাছন্ন আকাশের কারণে কৃষকের পরিশ্রমের ফসল সোনালী স্বপ্নের বোরো ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা । বোরো ধানের শীষ গুলো ধানের ভারে ন্যুয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে বোরো ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে। কৃষি বিভাগের হিসেব মতে সোমবার পর্যন্ত জেলায় দশমিক ৪৮ ভাগ বোরো ধান কাটা মাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। কাল বৈশাখী ঝড়ো হাওয়া সম্পর্কিত আবহাওয়া অফিসের আগাম বার্তায় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে মাঠে থাকা পাকা ধান দ্রুত কাটার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জয়পুরহাট সদর উপজেলার কোমরগ্রাম, বানিয়াপাড়া, ক্ষেতলাল উপজেলার বোরো ধানের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, সারা মাঠের বোরো ধান সোনালী রং ধারণ করেছে। কৃষকরা ধান কাটার প্রস্তুতিও গ্রহণ করছেন। কোমর গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম, কোরবান আলী জানান, বোরো ধানের এবার ফলন ভালো হয়েছে। ধান কাটার প্রস্তুতি গ্রহণ করতেই আকাশ মেঘাছন্ন হয়ে পড়ায় ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বলে জানান। আটিদাশরা গ্রামের কৃষক আনিসুর রহমান বলেন, এবার ৭ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন এবং ফলনও ভালো হয়েছে। ঘরে তোলার প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন বলে জানান তিনি।
জেলায় মাঠে থাকা পাকা বোরো ধান দ্রুত কাটা মাড়াইয়ের জন্য কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে বলে বাসস’কে জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবারও বাম্পার ফলনের আশা প্রকাশ করেন তিনি।