বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আকবর খান রনো রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল (ইন্নালিল্লাহে,,,,,,,,,,রাজেউন) করেছেন। সিপিবি’র কেন্দ্রিীয় কমিটির সদস্য জলি তালুকদার বাসস’কে জানিয়েছেন, রনো গতকাল শনিবার রাত ২টা ৫মিনিটে রাজধানীর হেলথ এন্ড হোপ হাসপাতালে মারা যান।
তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি একমাত্র মেয়ে রানা সুলতানাসহ বিপুল সংখ্যক আত্মীয়-স্বজন,গুণগ্রাহী ও শুভাকাঙ্খী রেখে গেছেন।
জলি তালুকদার বলেছেন, ‘প্রবীণ বামপন্থী নেতা রনো তার ধানমন্ডির বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় তিনি গুরুতর অসূস্থ্য অনুভব করলে তাকে হেলথ এন্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
হায়দার আকবর খান রনো ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি যখন ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের ছাত্র ছিলেন, তখনই কমিউনিস্ট পার্টির কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।
তিনি ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৫সাল পর্যন্ত তিনি ‘পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন’র সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৬ সালে তিনি সরাসরি শ্রমিক আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। হায়দার আকবর খান রনো রাজনীতি, অর্থনীতি, দর্শন এমনকী সাহিত্য ও বিজ্ঞানের ওপরও অনেকগুলো বই লিখেছেন। তিনি ২০২২ সালে মর্যাদাপূর্ণ ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার’ লাভ করেন।
ওবায়দুল কাদেরের শোক: বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা, মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং লেখক হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল এক শোক বিবৃতিতে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য, হায়দার আকবর খান রনো শুক্রবার রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি পরিবার-পরিজনসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।