নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, কেন্দ্র দখল তো দূরের কথা, একটা ভোট জাল পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে। পেশি শক্তি এবং কালো টাকা দিয়ে কেউ প্রভাব বিস্তার কিংবা ঝামেলা করতে চাইলে পুলিশকে ডাকবেন, তারা ব্যর্থ হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে সেই সব কেন্দ্রে পরে আলাদা করে ভোট নেয়া হবে। তিনি বলেন, কোনো প্রার্থী আচরণবিধি ভঙ্গ বা নির্বাচনি অপরাধ করলে তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
গতকাল শনিবার দুপুরে ঝালকাঠি শিল্পকলা একাডেমিতে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার এসব কথা বলেন। নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটার উপস্থিতি বাড়তে স্ব স্ব এলাকায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে, যাতে করে ভোটাররা নির্ভয়ে কেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। শনিবার বেলা ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বরিশাল, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে সভায় উপস্থিত ছিলেন বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক জাহিদুর রহমান ও বরিশাল র্যাব-৮ এর অধিনায়ক কর্নেল জুবায়ের আলম শুভ। সভায় নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, সব প্রার্থীই আমার কাছে সমান। যেকোনো মূল্যে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা হবে। কোনো প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন বা নির্বাচনী অপরাধ করলে তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগকে নির্দেশ দেন তিনি। জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে সভায় উপস্থিত ছিলেন বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক জাহিদুর রহমান ও বরিশাল র্যাব-৮ এর অধিনায়ক কর্নেল জুবায়ের আলম শুভ।