টাঙ্গাইলের গোপালপুর ভায়া ঝাওয়াইল সড়কের নবগ্রাম মাঝিবাড়ী সংলগ্ন মরাতাই খালের উপর পুরাতন সেতু ভেঙ্গে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য খাল ভরাট করে কৃত্রিম সড়ক নির্মাণ করায় ভরাবর্ষায় ঝিনাই নদীর পানি ওই খালে প্রবেশ করতে পারছেনা। ফলে গোপালপুর পৌরসভার ভূয়ারপাড়া, আলমনগর ইউনিয়নের নবগ্রাম ও নগদাশিমলা ইউনিয়নের হাজীপুর, বাইশকাইল, বনমালী, চতিলা, জোতবাগল এবং চাঁনপুর গ্রামের দুই শতাধিক হেক্টর কৃষিজমিতে ফসলহানী হচ্ছে। এ কারণেই নগদা শিমলার কইচা বিলেও বন্যার পানি ঢুকতে পারছে না। এতে ব্যাপক ক্ষতির স¤মুখীন হচ্ছে কৃষক। এমতাবস্থায় ভাটিতে ২০০হেক্টরের বেশি জমিতে আমন ধান চাষ ও বীজ তলা তৈরিতে কৃষকের ভোগান্তি তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ। বন্যার পানি না থাকায় বিপাকে পাট চাষীরা। তারা নিচু স্থানে জমে থাকা হাঁটু পর্যন্ত বৃষ্টির পানিতে পাট জাগ দিচ্ছে। বাইশকাইল আটাপাড়া গ্রামের পাট চাষী বাদশা মিয়া বলেন, এবার পাট কেটে বিপদে পড়েছি। কয়েকদিন আগে পাট কেটেছি বন্যার পানির জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। খালের মুখে বাঁধ দেয়ায় পানি আসলো না। এখন বাধ্য হয়ে বৃষ্টির সামান্য পানিতে পাট জাগ দিতাছি, নাহলে পাট নষ্ট হয়ে যাবে। একই অভিযোগ করেন চতিলা গ্রামের জয়নাল আবেদীন ও শুক্কুর আলী। হাজীপুর গ্রামের শেখ সোলায়মান বলেন, বন্যার পানি যেমন মাটিকে উর্বর করে, তেমনি অনেক মাছ পাওয়া যায়। নবগ্রাম বাঁধের কারণে বন্যার পানি ঢুকতে না পারায় সরাসরি কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মাছ তো দুরের কথা এখন মেশিন বসিয়ে ধান চাষ করতে হবে এবং জালা (ধানের চারা) বোনাও যাচ্ছে না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার বলেন, ব্লক সুপারভাইজারের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, ব্রীজ নির্মাণের ঔ বাঁধের কারণে ২০০হেক্টরের বেশি জমির চাষাবাদ ব্যাহত ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষক। বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে অবহিত করবো। ব্রীজ নির্মাণের দায়িত্বে থাকা মোজাহার এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী জনি মিয়া কৃষকের ভোগান্তির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি শীঘ্রই সেখানে বেইলি ব্রিজ বানিয়ে বাঁধটি কেটে দেবো। রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় ইউএনও’র অনুমোদন নিতে হবে। ইউএনও সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে তারপর জানাবো।