শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৭ অপরাহ্ন

একটি কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া স্বাধীনতা অর্থবহ হবে না -গণসমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের অধিকার আদায়ের জন্য ৫ আগস্ট জীবনবাজি রেখে হাজারো মায়ের বুক খালি করে আমরা দেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করেছি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা দ্বিতীয় বারের মতো দেশ স্বাধীন করেছি। এ দেশ আমার। এ দেশ আপনার। দলমত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে দেশ সবার। মুসলিমদের পাশাপাশি সকল ধর্মের মানুষ এখানে নিরাপদ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সংখ্যালঘুদের নিয়ে যারা রাজনীতি করে তারাই হিন্দুদের মন্দিরে আক্রমণ চালায়। ৫ আগস্ট যে বৈষম্য ও জুলুমের বিরুদ্ধে বিজয় এনেছি পরবর্তী সময় এসে আমরা দেখলাম সেই আগের মতোই দখলদারি, চাঁদাবাজি, ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছে একটি গোষ্ঠী। এসব বন্ধ করতে হবে। সবাই মিলে একটি কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। একটি কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ভাগ্যাহত জনতার ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না। স্বাধীনতা অর্থবহ হবে না। রাষ্ট্র সংষ্কার করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সময়ের দাবি। কিন্তু ঘুরেফিরে দুর্নীতিবাজদের ক্ষমতায় আনলে জনগণের দুঃখ-দুর্দশার অন্ত থাকবে না।
সোমবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কালকিনি উপজেলা শাখার উদ্যোগে উপজেলা শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন। গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, যুবনেতা এসএম আজিজুল হক, জেলা সভাপতি হাজী আজিজুল হক মল্লিক, সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা আমিনুল ইসলাম, মোঃ লুৎফর রহমান মুন্সি, মাওলানা ইসমাইল হোসেন, সেরনায়বাত আব্দুর রহমান আসলাম, মাওলানা বেলায়েত হোসেন, নাঈম ইসলাম, মুফতি সাইফুল ইসলাম।
সংগঠনের কালকিনি উপজেলা সভাপতি ক্বারি রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী আলী আকবারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে ।
তিনি বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রে ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইনসাফপূর্ণ সমাজ গঠন সম্ভব হবে না। ইসলামপন্থিগণ এক হলে ইসলামই হবে দেশের একমাত্র নিয়ামক শক্তি। জালিমদের হাত থেকে আলেমদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা সময়ে অনিবার্য দাবি।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মুহাম্মদ সা. রাষ্ট্র নায়ক ছিলেন। যার ভিতর ইনসাফ নেই, যে দুর্নীতিবাজ, চোর-ডাকাত, লুটেরা, ধর্ষক, জালিম সেই ব্যক্তি কীভাবে ইনসাফভিত্তিক সমাজ উপহার দেবে? কাজেই জালিম ও চোর-ডাকাতদের হাত থেকে ইসলামীপন্থিদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে আলেম অন্তর্ভুক্তি না করা সুখকর নয়। সিলেবাসের অসঙ্গতি এবং পরিবর্তনের দাবিতে ইসলামপন্থি সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন যাবৎ আন্দোলন করে আসছে। বিশেষ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে এর অসঙ্গতিগুলো বিগত সরকারকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে তা সংশোধনের দাবি করে আসছে। কিন্তু আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখলাম উপদেষ্টা সরকারেও ঘাপটি মেরে থাকা নাস্তিক-মুরতাদরা তৎপর। কথা বার্তা পরিস্কার শিক্ষা নিয়ে কোন চক্রান্ত মেনে নেয়া হবে না। অবিলম্বে পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে আলেম এবং ইসলামী স্কলারদের অন্তর্ভুক্তি করতে হবে।
এদিকে সোমবার বিকেলে মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানা শাখার উদ্যোগে টেকেরহাট বাসস্ট্যান্ড শাহী মসজিদ সংলগ্ন মাঠে পৃথক এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। সমাবেশ গণসমুদ্রে পরিণত হয়। রাজৈর থানা সভাপতি মাওলানা আবু ছালেহ নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন, দলের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী। এছাড়াও কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com