দেশের বাজারে কিছুতেই কমছে না কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজের দাম। এদিকে প্রতিদিন বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে ৪০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। আর এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে গুনতে হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা। দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন। গতকাল রোববার (১৪ জুলাই) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, বাজারে আমদানি করা ভারতীয় কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০-৪০০ টাকা কেজি। আর দেশি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৩৬০ টাকা। অবশ্য পাড়া-মহল্লায় এর চেয়ে বেশি দামেও কাঁচা মরিচ বিক্রি হতে দেখা গেছে। ভারতীয় কাঁচা মরিচ আকারে দেশি মরিচের তুলনায় কিছুটা বড়। এদিকে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম সবজি ও কাঁচা পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্য প্রাকৃতিক কারণকে দায়ী করেছেন। গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ভারী বর্ষণের কারণে দেশের ১৮টি জেলায় পানি বেড়েছে। এতে ওই এলাকাগুলো থেকে কাঁচা পণ্যের সরবরাহ কমেছে। ফলে পণ্যের দাম বাড়ার পেছনে অসাধু কারও ষড়যন্ত্র আছে বলে মনে হয় না। আমি মনে করি এ পরিস্থিতি সাময়িক। তবে বাজারে আমাদের নজরদারি থাকবে। কারসাজির কোনো অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অন্যদিকে, পেঁয়াজের দাম কমানোর জন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না, ভারত থেকে আমদানি বাড়াতে কোনো উদ্যোগ বা বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির কোনো পদক্ষেপ আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য (আইআইটি) অনুবিভাগের প্রধান অতিরিক্ত সচিব মালেকা খায়রুন্নেছা বলেন, এখনো কিছু চূড়ান্ত নয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও কিভাবে পেঁয়াজের দাম কমানো যায় সে পথ খুঁজছে। আমরা আলোচনার মধ্যে আছি। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেয়া হয়নি।রাজধানীর ব্যবসায়ীরা বলছেন, মরিচের উৎপাদনস্থলেই দাম বেশি। যেমন দেশের কাঁচা মরিচের অন্যতম উৎপাদন এলাকা বলে পরিচিত পাবনার সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলার বিভিন্ন খুচরা বাজারে ৩৬০ টাকা কেজি স্থানীয় (দেশি) কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া ভারত থেকে যে কাঁচা মরিচ আমদানি হচ্ছে, তার দামও বেশি। এসব কারণে বাজারে মরিচের দাম ক্রমে বাড়ছে।