বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
হিন্দু সম্প্রদায়ের সার্বিক নিরাপত্তায় বিএনপি’র নেতাকর্মীরা মাঠে থাকবেন: মাফরুজা সুলতানা দেনা শোধ না করেই চির বিশ্রামে হৃদয় হামাস ধ্বংসযজ্ঞ থেকে ফিনিক্স পাখির মতোই জেগে উঠবে: খালেদ মেশাল জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ দাম নিয়ন্ত্রণে চাল আমদানিতে শুল্ক কমানোর চিন্তা করছে সরকার ‘গণমাধ্যম যোগাযোগে ইসলামী মডেল’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন সবপক্ষের সাথে আলোচনা করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ঘোষণা করা হবে : উপদেষ্টা নাহিদ আবরার ফাহাদ হত্যা : বুয়েটে কী ঘটেছিল ৫ বছর আগে স্বৈরাচার আবার পুনর্বাসন হলে দেশে মানুষ বাস করতে পারবে না : রিজভী

বিদ্রোহের মূল নায়ক প্রকাশ্যে

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৪

আনসার বেশের স্বৈরাচারদের রুখ হবে
বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী আনসাদের আচরণ সুস্পষ্ট রাষ্ট্রদ্রোহিতা। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী বিশেষ করে যারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত,তাদের দাবি-দাওয়া আদায়ের বিভাগীয় পদ্ধতি আছে। তারা মিছিল-মিটিং করে জনপ্রশাসন ও জনগণকে পণবন্দি করে দাবি আদায়ের করার অপচেষ্টা করলে তা সুষ্পষ্ট বিদ্রোহ। তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে থাকলে সব কখনো সরকারকে সহযোগিতা করেছে, এমন ইতিহাস নেই। বরং তাদের দর্শন হলো,‘একদিনের জন্যও শান্তিতে থাকতে দিবো না।’ তাই ফ্যাসিবাদীরা যেন সেই সুযোগ না পায় তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। ‘ একদিনের জন্যও শান্তিতে থাকতে দিবো না। এদিকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী আনসাদের পক্ষ নিয়ে গত রবিবার নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। আনসার সদস্যদের নিয়ে প্রকাশিত দেশের একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘শান্তিপূর্ণ আনসার আন্দোলনকারীদের লাঠি দিয়ে হামলা চালিয়েছে ছাত্র আন্দোলনকারীরা।’ পোস্ট টি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়েছেন জয়। কেউ লিখেছেন- ‘তোমার এই পোস্ট দেখে কারও আর বুঝতে বাকি নেই যে তুমিই প্রধান হিরো।’
উল্লেখ্য,রাজধানীর সচিবালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশৃঙ্খলাকারী আনসার সদস্যদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। গত রবিবার রাত ৯টার দিকে সচিবালয়ের সামনে আনসার-শিক্ষার্থী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিকে এ ঘটনায় সচিবালয় ও আশপাশের এলাকা থেকে দুই নারী সদস্যসহ প্রায় চার শতাধিক আনসার সদস্যকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে দেশের মানুষ যখন বন্যার মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছেন ঠিক তখন হঠাৎ করেই কেন আনসার সদস্যরা আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য শুরু করেছেন! এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাধারণ মানুষ নিজেদের মত প্রকাশ করছেন। জাতির ক্রান্তি লগ্নে এ বাহিনীর আচরণে ক্ষুব্ধ সবাই। অনেকেই আনসার বাহিনীকে বিলুপ্তির দাবিও জানিয়েছেন।
আন্দোলনকারী আনসার সদস্যদের সঙ্গে ব্যাটালিয়ন আনসারের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।
তিনি বলেন,‘আন্দোলনকারী অনেকেই আনসার সদস্য নয়; তারা বহিরাগত। তারা আনসারের পোশাক নিয়ে আন্দোলনে আসেন অন্য উদ্দেশ্যে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘শকুনদের বলে দিতে চাই- আজকের পর থেকে সচিবালয়ের আশপাশে অবস্থান করলে ছাত্র-জনতা দেখে নেবে।’
তিনি বলেন, ‘৩৬ দিনের গণঅভ্যুত্থানে আমরা সচিবালয় ঘেরাওয়ের মতো কোনো কর্মসূচি দেইনি। কারণ, এখান থেকে রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। গণঅভ্যুত্থানের কয়েকদিন যেতে না যেতে অধিকার আদায়ের নামে যারা ভ-ামি করে সচিবালয় ব্লকেড করে তারা স্বৈরাচারের দালাল। আমাদের ভাইদের ওপর হামলাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ছি না। শকুনদের সাবধান করে দিতে চাই। আমার ভাইয়ের দিকে হাত বাড়ালে আর অস্তিত্ব থাকবে না।’
ছাত্র-জনতার উদ্দেশে এই সমন্বয়ক বলেন, ‘আপনাদের একটি কথা বলতে চাই- শকুনেরা হারিয়ে যায়নি। যেকোনো সময় শকুনদের উৎপাত দেখলে প্রতিহত করতে হবে।’
আনসার সদস্যদের সচিবালয় অবরোধ করার ঘটনাকে ‘আনসার ক্যু’ হিসেবে উল্লেখ করে আগামী দিনে কোনো ধরনের ক্যুর (অভ্যুত্থান) চেষ্টা হলে ভয়াবহ পরিণতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্তর্র্বতীকালীন সরকারে ক্রীড়া উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘কোনো ষড়যন্ত্রই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করতে যথেষ্ট হবে না। জুডিশিয়াল ক্যু, পথভ্রষ্ট আনসার ক্যুর উদাহরণের পরেও যদি সাবধান না হোন তবে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হাজার হাজার মানুষের প্রতিক্রিয়া ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদের মধ্যে একজন লিখেছেন, ‘এদেরকে দিয়ে পাল্টা অভ্যুত্থানের অপচেষ্টা চালানো হয়। এই কুলাঙ্গারদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করার দাবি জানাই। তাদের মদতদাতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নেওয়া হোক।’
এদিকে, নতুন করে আনসার বিদ্রোহের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ের একটি পোস্ট ঘিরে রহস্য দেখা দিয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘শকুনদের বলে দিতে চাই- আজকের পর থেকে সচিবালয়ের আশপাশে অবস্থান করলে ছাত্র-জনতা দেখে নেবে।’
তিনি বলেন, ‘৩৬ দিনের গণঅভ্যুত্থানে আমরা সচিবালয় ঘেরাওয়ের মতো কোনো কর্মসূচি দেইনি। কারণ, এখান থেকে রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। গণঅভ্যুত্থানের কয়েকদিন যেতে না যেতে অধিকার আদায়ের নামে যারা ভ-ামি করে সচিবালয় ব্লকেড করে তারা স্বৈরাচারের দালাল। আমাদের ভাইদের ওপর হামলাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ছি না। শকুনদের সাবধান করে দিতে চাই। আমার ভাইয়ের দিকে হাত বাড়ালে আর অস্তিত্ব থাকবে না।’
ছাত্র-জনতার উদ্দেশে এই সমন্বয়ক বলেন, ‘আপনাদের একটি কথা বলতে চাই- শকুনেরা হারিয়ে যায়নি। যেকোনো সময় শকুনদের উৎপাত দেখলে প্রতিহত করতে হবে।’
আনসার সদস্যদের সচিবালয় অবরোধ করার ঘটনাকে ‘আনসার ক্যু’ হিসেবে উল্লেখ করে আগামী দিনে কোনো ধরনের ক্যুর (অভ্যুত্থান) চেষ্টা হলে ভয়াবহ পরিণতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্তর্র্বতীকালীন সরকারে ক্রীড়া উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘কোনো ষড়যন্ত্রই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করতে যথেষ্ট হবে না। জুডিশিয়াল ক্যু, পথভ্রষ্ট আনসার ক্যুর উদাহরণের পরেও যদি সাবধান না হোন তবে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হাজার হাজার মানুষের প্রতিক্রিয়া ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদের মধ্যে একজন লিখেছেন, ‘এদেরকে দিয়ে পাল্টা অভ্যুত্থানের অপচেষ্টা চালানো হয়। এই কুলাঙ্গারদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করার দাবি জানাই। তাদের মদতদাতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নেওয়া হোক।’
এদিকে, নতুন করে আনসার বিদ্রোহের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ের একটি পোস্ট ঘিরে রহস্য দেখা দিয়েছে।
গতকাল সোমবার সকালে জয় আবারও একটি পোস্ট দিয়েছেন। যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘সচিবালয় ঘিরে বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করার জন্য আমাদের বুদ্ধিজীবীরা আমাদের আল সরকারের সমালোচনা করেছেন। অথচ দুই সপ্তাহের মধ্যে এই অন্তর্র্বতীকালীন প্রশাসনকে সেখানে সব সমাবেশ নিষিদ্ধ করতে হয়েছে। দায়িত্বহীনতা এবং সমালোচনা করা সহজ। ক্ষমতায় থাকা আর শাসন করাটা আলাদা ব্যাপার।’
প্রসঙ্গত, সচিবালয় এবং অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের বাসভবনের আশপাশে সব ধরনের গণজমায়েত, সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গত রবিবার দিবাগত রাতে ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক গণ-বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দিনভর অবস্থান করে সচিবালয় অবরুদ্ধ করে রেখেছিল আনসার সদস্যরা। রাত ৯টা পর্যন্ত অবস্থান থেকে সরে না যাওয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলনের নেতারা টিএসসিতে জড়ো হয়ে সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার আহবান জানান। এ আহবানে সাড়া দিয়ে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী রাত নয়টার পর সচিবালয়ের দিকে যান। প্রথমে আনসার সদস্যরা শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও হয়। পরে শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন সড়ক দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সচিবালয় ফটকে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। সেনাবাহিনীর সদস্যরা আশপাশের এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। গতকাল রোববার রাতে অনেকেই বলেছেন, স্বৈরাচার নেমেছে আনসারের বেশে। এদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। গতকাল রাত ১১টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় শতাধিক আনসার সদস্যকে সেনাবাহিনীর সদস্যদের বেধে রাখতে দেখা গেছে।
বন্যায় দেশের একটি অংশ যখন বিপর্যস্ত; সেই চরম মানবিক বিপর্যয়ের সময়ও অরাজক এক পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করেছিল আনসার সদস্যরা। তারা গতকাল প্রকাশ্যে মাইকে হুমকি দিয়ে বলেছে, সচিবালয় থেকে কোন অফিসারকে বাইরে যেতে দেয়া হবে না। গেইটে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ডিউটি-তে না থাকলে অঘটন ঘটে যেতে পারতো। তাদের শ্লোগানের ভাষা ছিল উগ্র! সংযমের ছিটেফোঁটা ছিল না। শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আচরন এমন হবে কেন, যেখানে তদারককারী সংস্থা আছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে ভেতর থেকে তালা দিয়ে গেইট রক্ষা করেছেন। সাধারণ মানুষের চলাচলের পথ তারা সকাল থেকেই বন্ধ করে দিয়ে প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত রোববার রাত ১০টার পরে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ওই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের।
রাতে চারিদিক থেকে শিক্ষার্থীদের মিছিল আসায় পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে শুরু করে আনসার সদস্যরা। জাতীয় প্রেস ক্লাব সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে অধিকাংশ সদস্যদের নিরাপদে চলে যেতে দেওয়া হয়। এর মধ্যে অনেক আনসার সদস্য মারধর, লাথি, কিল, ঘুসি আর লাঠিপেটার শিকার হয়। গত রোববার চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে সকাল থেকে সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছিল আনসার সদস্যরা। একপর্যায়ে দুপুরে সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারী আনসারদের একাংশ। তারা সচিবালয়ে তিন নম্বর গেট দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে ঢুকে পড়ে। পরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী তাদের প্রতিনিধিদের দাবিদাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে, তার কিছুক্ষণ পরেই আবারও আন্দোলন শুরু করে আনসার সদস্যরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
সচিবালয়ের সামনে তাদের অবস্থানের কারণে ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিষয়টি জানতে পেরে তাদের উদ্ধার করতে রাত ৯টার দিকে সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে সচিবালয় এলাকায় আন্দোলনরত আনসার সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে করে দুইপক্ষের ৪০ জনের বেশি আহত হন। একপর্যায়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করলে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে আনসার সদস্যরা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com