পাঁচবিবি পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রের প্রধান ড্রেনটি দীর্ঘ ২৫ বছরেও নির্মাণ হয়নি। ফলে প্রতিবছর দুর্ভোগ পোয়াচ্ছেন এলাকাবাসী। প্রায় ১ কিলোমিটার আঁকাবাঁকা এই ড্রেনটি বেশিরভাগ স্থান এখন বিভিন্ন আবর্জনা ও পলিথিনে ভরাট হয়ে গেছে। ভরাট স্থানের আশেপাশের জায়গা কেউ কেউ লিজ নিয়েছে। কেউ বা জবরদখল করে গড়েছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ২নং রেল গুমটি হয়ে উপজেলা পরিষদের পূর্ব ধার ঘেঁষে স্টেডিয়াম, সমিরণ নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লালবিহারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও বালিঘাটা বহুমুখী সমবায় সমিতির পাশ দিয়ে দানেজপুর গ্রামের ১নং রেল গুমটি হয়ে বের হতো এই ড্রেনের পানি। এখন পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর বের হয় না এই ড্রেনের পানি। বর্ষকালে একটু বৃষ্টিতেই ড্রেনটি ভরে যায়। পানি বাড়তে বাড়তে ঢুকে পড়ে বাসাবাড়িতে। এসময় ঘর হতে বের হতে পারে না লোকজন। এক কাপড়ে বের হলেও কাপড় বদল করে ঢুকতে হয় আবার বাড়িতে। এই বৃষ্টির পানি ধীরে নামায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় এমন দূরাবস্থা প্রত্যেক বছরই। তবুও যেন দেখার কেউ নেই। নেই কারো কোনো মাথা ব্যথা। এলাকাবাসী মুরাদ, দুলাল, বাবুসহ একাধিক লোকজন অভিযোগে বলেন, বর্ষার পূর্বে পৌর কর্তৃপক্ষের ২/৪ জন দিনমজুর ড্রেনের ভাসমান সব ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে। তারপর আর কোন খবর নেই। ড্রেন সংস্কারে একাধিকবার জানিয়েও কোনো ফল মেলেনি। অথচ প্রত্যেক বছরই বাজেট আসে। কাজও হয়। কিন্তু কাজের কাজ হয় না। তারা আরো বলেন, কর্তৃপক্ষ তদন্তপূর্বক ড্রেনটি দ্রুত সংস্কার করবেন এইটুকুই আমাদের প্রত্যাশা। এবিষয়ে পৌরসভার প্রকৌশলী মারুফ হোসেনের সঙ্গে কথা বললে, তিনি বলেন, এই ড্রেনটির বিষয়ে একাধিকবার মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন প্রকল্পে বাজেট পাঠিয়েছি আমরা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন প্রকল্প মিলেনি।