মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন

মৌলভীবাজার সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ড্রাইভিং কোর্সে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

এহসান বিন মুজাহির (শ্রীমঙ্গল) মৌলভীবাজার
  • আপডেট সময় শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪

মৌলভীবাজারের সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) ড্রাইভিং উইথ অটোমেকানিক্স কোর্সে বছরের পর বছর ব্যাপক দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের মাধ্যমে বেকার প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে অর্থ লোপাট করে নিজেদের আখের গোছানোর অভিযোগ ওঠেছে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জানা যায়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২১ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে দেশে ও বিদেশে চাকরির সুযোগ করে দেয়ার লক্ষ্যে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) কর্তৃক পরিচালিত মৌলভীবাজারের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নানা কোর্সে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এরমধ্যে দীর্ঘদিন যাবত ড্রাইভিং উইথ অটোমেকানিক্স কোর্সে ব্যাপক দুর্নীতি ও নানা ধরণের অনিয়মের অভিযোগ শুনে অনুসন্ধানে নামে দৈনিক খবরপত্র। অনুসন্ধানে দেখা গেছে বছরের পর বছর ধরে প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে নানা অজুহাতে অর্থ আদায়, চিকিৎসকের ভুয়া সিল বানিয়ে ভুয়া রেজিষ্ট্রেশন নম্বর দিয়ে জাল স্বাক্ষর করারও অভিযোগ রয়েছে কোর্সের ইন্সট্রাক্টর মোহাম্মদ আবু ইউসুফ ইমন ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
কোর্সে নানা ধরণের দুর্নীতি এবং অনিয়ম হলেও প্রশিক্ষণে থাকা অবস্থায় মুখ খুলে কথা বলার সাহস পায়নি অনেক ভুক্তভোগী প্রশিক্ষণার্থীরা। তবে প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করার পর মুখ খুলে কথা বলতে শুরু করেন ভুক্তভোগীরা। কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ড্রাইভিং কোর্সের বিভিন্ন ব্যাচের প্রশিক্ষণার্থীরা দৈনিক খবরপত্রকে জানান, ড্রাইভিং কোর্স পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের পাশ করিয়ে দেবার কথা বলে বিআরটিএ’র নামে প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে আদায়, লার্ণার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য সরকারি ফি’র বাইরে ২৭৫ টাকা করে অতিরিক্ত আদায়, ডোপ টেস্টের কাগজে সিরিয়াল ও স্মারক নম্বর এর জন্য ৪০০ টাকা করে আদায়, ভর্তি ফির ষাট টাকার ফরম বিক্রি ১০০টাকায়, চিকিৎসকের নামে ভুয়া সিল বানিয়ে এবং স্বাক্ষর জালিয়াতি করে রিপোর্ট প্রদানে শিক্ষার্থী প্রতি ২০০ টাকা করে আদায় করে অর্থ লোপাট করেছে টিটিসি কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি সরজমিনে মৌলভীবাজার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) গিয়ে ড্রাইভিং উইথ অটোমেকানিক্স কোর্সের বিষয়ে খোঁজখবর করে জানা যায়, প্রতি বছর তিন মাস অন্তর অন্তর বছরে চারটি গ্রুপে ৩২০ জন (প্রতি গ্রুপে সকালের ব্যাচে ৪০ জন ও বিকেলের ব্যাচে ৪০ জন করে) বেকার যুবক-যুবতীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণার্থীরা অভিযোগ করেন ‘ড্রাইভিং উইথ অটোমেকানিক্স কোর্সে’ নামমাত্র প্রশিক্ষণ করানো হয়। কোর্স ইন্সট্রাক্টর ও কর্মকর্তাদের ফাঁকিবাজি এবং অনিয়মের কারণে প্রকৃত প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। মৌলভীবাজার টিটিসিতে সরজমিনে গিয়ে ড্রাইভিং উইথ অটোমেকানিক্স কোর্সের সকল প্রশিক্ষনার্থীদের ‘ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য মেডিকেল সার্টিফিকেট’ ফরম-২ এ দেখা যায় এতে ‘ডাঃ চন্দ্র শেখর কর, মেডিকেল অফিসার’ এ নাম ও পরিচয়ে দুই লাইনের একটি সিল মারা ছিল। তার নিচে হাতে লেখা রেজিষ্ট্রেশন নং অ-৭৫২৩৪ আর সিলের উপরে একটি স্বাক্ষর রয়েছে। বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলে খোঁজ নিয়ে এ রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ও চিকিৎসকের কোন অস্থিত্ব পাওয়া যায়নি। এছাড়া ওই চিকিৎসক ভুয়া ও তার সিল জালিয়াতির কথা স্বীকার করেন কর্তৃপক্ষ। দৈনিক
খবরপত্রের সাথে আলাপকালে ওই কেন্দ্রের ড্রাইভিং উইথ অটোমেকানিক্স কোর্সের অষ্টম ব্যাচ (জুলাই-সেপ্টেম্বর-২০২৩) এর প্রশিক্ষণার্থী তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ ও ভাতা পাবার কথা শুনে যখন মৌলভীবাজার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ড্রাইভিং উইথ অটোমেকানিক্স কোর্সে ভর্তি হই তখন ভর্তি বিজ্ঞপ্তির নোটিশে ৬০ টাকা লেখা থাকলেও আমাদের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। ভর্তির পর লার্ণার লাইসেন্স ফি বাবদ আমাদের কাছ থেকে আদায় করা হয় ৮০০ টাকা। অথচ লার্ণার ফি প্রদানের পর আমাদের মুঠোফোনে ৫২৫ টাকার এসএমএস আসে। অর্থাৎ ৫২৫ টাকার ফি নেয়া হয়েছে ৮০০ টাকা করে। এছাড়া ডোপ টেস্ট ও আইটেস্ট করানোর জন্য ২০০ টাকা করে ৪০০ টাকা। ক্লাস এবং পরীক্ষার কথা বলে ২০০ টাকা দিয়ে একটি স্পাইরাল বাইন্ডিং করা বই আমাদের কিনতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু বই কেনার পর আর কোনো ক্লাস হয়নি। কোর্সের শেষদিকে বিআরটিএ অফিসের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করার কথা বলে আরো ২ হাজার ৫০০ টাকা নেয়া হয়েছে। একই অভিযোগ করেন প্রশিক্ষণার্থী আশিকুর রহমান চৌধুরী, মো. নাইম মিয়া, আনোয়ার হোসেন, হাবিবুর রহমান বিল্লাল, জুনেদ মিয়া, অনিক বর্ধন, চয়ন রবি দাস, আব্দুল ওয়াদুদ ফাহাদ এবং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থী। একই অভিযোগ করেন ড্রাইভিং উইথ অটোমেকানিক্স কোর্সের নবম ব্যাচ (জানুয়ারি-মার্চ-২০২৪) এর প্রশিক্ষণার্থী আবদুল হাকিম এবং নবম ব্যাচের (অক্টোবর-ডিসেম্বর-’২৪) প্রশিক্ষণার্থী আব্দুর রাজ্জাক বলেন আমাদের ব্যাচের সবার কাছ থেকেও ভর্তির পর লার্ণার লাইসেন্স ফি বাবদ আদায় করা হয় ৮০০ টাকা। অথচ লার্ণার ফি প্রদানের পর আমাদের মুঠোফোনে ৫২৫ টাকার এসএমএস আসে। অর্থাৎ ৫২৫ টাকার ফি নেয়া হয়েছে ৮০০ টাকা করে। এছাড়া ডোপ টেস্ট ও আইটেস্ট করানোর জন্য ২০০ টাকা করে ৪০০ টাকা। ক্লাস এবং পরীক্ষার কথা বলে ২০০ টাকা দিয়ে একটি স্পাইরাল বাইন্ডিং করা বই আমাদের কিনতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু বই কেনার পর আর কোনো ক্লাস হয়নি। কোর্সের শেষদিকে বিআরটিএ অফিসের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করিয়ে দেবার কথা বলে আরো ২ হাজার ৫০০ টাকা নেয়া হয়েছে।
সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ড্রাইভিং উইথ অটোমেকানিক্স কোর্সের অষ্টম ব্যাচ (জুলাই-সেপ্টেম্বর-২০২৩) এর প্রশিক্ষণার্থী আশিকুর রহমান চৌধুরী গতকাল মুঠোফোনে বলেন, আমরা ২০২৩ সালে ড্রাইভিং কোর্স সমাপ্ত করি। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসও শেষ, কিন্তু এখন পর্যন্ত আমি লাইসেন্স ফি’র ৩ হাজার ২৯০ টাকা পাইনি। তবে যাতায়াত ফি বাবত ছয় হাজার দুইশত টাকা পেয়েছি। যাতায়ত বাবদ মোট বরাদ্দ বিষয়ে জানতে চাইলে কোর্স ইন্সট্রাক্টর মোহাম্মদ আবু ইউসুফ ইমন স্যার বলেন ফোনে বলা যাবে না, তোমার জানার দরকার হলে অফিসে এসে জেনে যেও। লার্নার ফি কবে পাবো জানতে চাইলে স্যার বলেন এই ব্যাচের সবার বরাদ্দের টাকা এখনো আসেনি। তবে আসা করি শিগগির আসবে। এদিকে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মো. আকতার হুসেন এর বিরুদ্ধে চলতি মাসের গত ২৮ আগস্ট অভিযোগ উঠেছে টিটিসিতে বিভিন্ন ট্রেডের ভাইভা পরীক্ষার দিন নারী শিক্ষার্থীদের হিজাব-নেকাব খুলতে বাধ্য করা, মুখ না খোলা শিক্ষার্থীদের ‘নিনজা সেজে এসেছে বলে সম্বোধন করা, স্বল্প আওয়াজে বিভিন্ন বিরক্তিকর মন্তব্য করা। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে টিটিসির সরকারি প্রশিক্ষণের ড্রাইভিং এর গাড়ি নিয়ে শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন পর্যটন স্পটসহ মৌলভীবাজার শহরে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার অভিযোগও রয়েছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের ব্যাপারে মৌলভীবাজারের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ড্রাইভিং উইথ অটোমেকানিক্স কোর্সের ইন্সট্রাক্টর মোহাম্মদ আবু ইউসুফ ইমন বলেন, ‘লার্ণারের কাজ বাইরে থেকে করাই তাই তাদের কিছু খরচপাতি দিতে হয়। স্কেনিং-টেস্কিং আছে, অনলাইন চার্জ আছে। সেজন্য প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে ৫২৫ টাকার ফি ৮০০ টাকা করে নেই। পুরো টাকাটাই কম্পিউটারের দোকানকে দিয়ে দেই। আমরা কোন টাকা রাখি না। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)-কে শিক্ষার্থী প্রতি ২ হাজার ৫০০ টাকা করে দিতে হয় প্রশিক্ষণার্থীদের পাশের জন্য। ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য মেডিকেল সার্টিফিকেট আমরা বাইরে কম্পিউটারের দোকান থেকে করে নিয়ে আসি। চিকিৎসকের সিল তারাই মারেন। বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রদের দৌড়াতে হতো আমরা তাদের সহযোগিতা করি। এতে আমাদের কোন হাত নেই। তবে এটি অবশ্যই বৈধ নয়। আমরা তাদের কাছ থেকে করাই নিয়ে আসি। কম্পিউটারের দোকানের ছেলেরাই করে দেয়।’ কোন কম্পিউটার থেকে করানো হয় এসব অবৈধ কাজ এ প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে কোন অভিযোগ বা মন্তব্য থাকলে আমরা কোন কাজ আমাদের হাতে নেবো না। ছাত্রদের কাজ তারাই করে নিয়ে আসবে। আমাদের প্রিন্সিপাল স্যারও বলেছেন মেডিকেল সার্টিফিকেট সংগ্রহ এবং বিআরটিএর সাথে এখন থেকে আর কোন লিয়াজো করার দরকার নেই। অষ্টম ও নবম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এখনো লার্নার ফি কেনো পেলো না জানতে চাইলে ড্রাইভিং উইথ অটোমেকানিক্স কোর্সের ইন্সট্রাক্টর মোহাম্মদ আবু ইউসুফ ইমন বলেন, অষ্টম ব্যাচের ২৬ জনের বরাদ্দ ৮৫ হাজার ৫৪০ টাকা এসেছে, বাকিদের বরাদ্দ এখনো আসেনি, প্রসেসিং চলছে, আসামাত্রই বাকি প্রশিক্ষণার্থীদের টাকা দেওয়া হবে। আর নবম ব্যাচের কোনো বরাদ্দ এখনো আসেনি। তবে যাতাতায়ত বাবদের বরাদ্দ তাদের দেওয়া হয়েছে। মৌলভীবাজার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মো. আকতার হুসেন বলেন, ‘প্রশিক্ষণার্থীদের উত্থাপিত সকল অভিযোগ সঠিক নয়। আমি এখানে আসার আগে মৌলভীবাজার টিটিসি জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল। আমি এটিকে কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে এসেছি।’ গিয়ে তার কোথাও কোন ভুল হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখবো। যুগ যুগ ধরে সমাজে যা চলে এসেছে তা পাল্টানো যাবে না। আপনি পারবেন কি সমাজ পাল্টাতে? আমি সরকারি দপ্তর চালাই। অভিযোগ যেহেতু ওঠেছে বিষয়টি দেখবো। যদি আমাদের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িত আছে এমন প্রমাণ পাই তবে ব্যবস্থা নেবো। সরকারি গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখন প্রকল্পটি বন্ধ ছিল, তখন আমি গাড়ি ব্যবহার করেছি, প্রকল্প শেষ হলে ব্যক্তিগত কাজে গাড়ি ব্যবহারে কোনো বাধা নেই। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) মৌলভীবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) মু. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের নামে তারা টাকা নিচ্ছে তা কি কারো বক্তব্য বা লিখিত আছে? থাকলে আমাদের দেন। আর ড্রাইভিং পরীক্ষা আমরা কঠিনভাবে নিচ্ছি। এ ব্যাপারে ডিসি স্যার, এডিএম স্যারও সোচ্চার। আমি অভিযোগের ব্যাপারে টিটিসি প্রিন্সিপাল সাহেবের সাথে আলোচনা করে দেখছি। আমরা টিটিসির বাচ্চাদের সবকিছু ফ্রি করাচ্ছি, ভাতা দিচ্ছি। তারা যদি ভালো করে ড্রাইভিং নাই শেখায় তবে তা দুঃখজনক। আমরা কারো জন্য কঠিন পরীক্ষা, কারো জন্য সহজ পরীক্ষা নিচ্ছি না, সবার জন্য সমান পরীক্ষা নিচ্ছি। কাজেই তারা এগুলো করতে যাবে কেন? আমি আমাদের নামে প্রশিক্ষণার্থীদের কাছে থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবো।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com