বরিশাল রুপাতলী মৃত ইসহাক চৌধুরীর ছেলে মোঃ মুরাদুল ইসলামের সাথে ২০১৩ সালে পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার রহমত নগর এলাকার আব্দুস সালাম হাওলাদারের ছেলে বশির উদ্দিন ( ৩৫) এর সাথে পরিচয় হয় একপর্যায়ে তাদের মধ্য অনৈতিক সম্পর্ক তৈরি হয়। সম্পর্কের এক পর্যায়ে তারা ২০১৩ ও ২০১৪ দুই বছর একসাথে বসবাস শুরু করেন এবং একাধিক বার শারীরিক সম্পর্ক হয় এরই মধ্য পারিবারিক চাপের কারণে মুরাদুল ইসলাম ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া উদ্দেশে পাড়ি জমান বিদেশে থাকাকালীন সময়ে বশির বিভিন্নভাবে মুরাদুল ইসলামের কাছ থেকে নানাভাবে অজুহাত দিয়ে অর্থ দাবী করতে থাকে। একপর্যায়ে ভালোবাসার টানে মুরাদুল ইসলাম সরল মনে নিয়মিত ভাবে বশিরকে অর্থ প্রদানসহ ও তার পরিবারের জন্য বিভিন্ন মূল্যবান জিনিস উপহার হিসেবে প্রেরণ করতে থাকে। বশিরের পরিবার এই বিষয়ে অবগত থাকলেও অর্থ এবং উপহারের লোভে বিষয়টি গোপন রাখে। এরই মধ্য বশির মুরাদের অগোচরে একাধিক মেয়েদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। মুরাদের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করার ভয় দেখিয়ে বিভিন্নভাবে নিয়মিত অর্থ আত্মসাৎ করতে থাকেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মুরাদুল ইসলামের দাবি ‘আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে পটুয়াখালী বাউফলে পাকা বাড়ির স্থাপনা নামে বেনামে জমি কুয়াকাটা জমি কেনা সহো আমার নিকট থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। একটানা প্রায় ১১ বছর বশির মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করার পরেও প্রতারক অন্য মেয়ের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। স্ত্রী নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছে ও আত্মগোপনে রয়েছে বশির মুরাদুল ইসলামকে কাউকে না বলার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকেন এরই পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী মুরাদের ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ২ / ৯ চব্বিশ তারিখে বরিশাল কোতালি মামলা দায়ের করেন যাহার মামলা নং ১৫৫১/ ২৪
উল্লেখ্য প্রতারক বশির বাউফল থানার আওয়ামী লীগের স্থানীয় রাজনীতির সাথে সক্রিয় কর্মী ছিলেন এবং আওয়ামী লীগের ভয় দেখিয়ে বিভিন্নভাবে টাকা আত্মসাৎ করে মুরাদুল ইসলামকে মেরে ফেলার হুমকিও দেখিছে।
মুরাদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ অস্ট্রেলিয়া আসার পরে আমার টাকা পয়সা আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে ভালবাসার মায়ার বন্ধনে সব নিয়ে গেছে । বিচার চাই। আমি কখনো ভাবিনি ও আমাকে রেখে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে। বসির আমার দুর্বলতার সুযোগ নিয়েছে আমাকে বারবার ব্যবহার করে।ে আমাকে যাই বলেছে আমি তাই শুনেছি। আমি বুঝতে পারিনি ও আমার সাথে এমন প্রতারণা করতে পারবে। কোন যুবক যেন এমন অনৈতিক ও পাপের শারীরিক সম্পর্কে পুরষের প্রেমে না পড়ে। পাপের কথা ভুলে অন্তরালে এভাবে কেউ যেন মায়ায় না জড়ায়, আমি বশিরের বিচার দাবি জানাচ্ছি । বশিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে সে তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সে জানিয়েছে একজন, সব পুরুষের মতো সেও বিয়ে করেছে। এতে দোষের কী আছে। মুরাদুল নিজে চরিত্রহীন, তাই সে বশিরের বিরুদ্ধে এমন জঘন্য অভিযোগ করেছে। এতে বশিরের মানহানি হয়েছে। মুরাদুল ইসলাম অপপ্রচার বন্ধ না করলে সে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবে বলে জানিয়েছে। এলাকার যারা এ কথা জেনেছেন, তারা মন্তব্য করেছেন, ‘যেমন পাপ তেমন সাজা এরা সমাজের দুষ্ট ক্ষত। এদের এমন উচিত সাজাই কাম্য।