ফরিদপুরে মাঠের পর মাঠ জুড়ে পেঁয়াজ রোপনে ব্যাস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা মাঠ তৈরি, বীজতলা থেকে চারা তুলে জমিতে লাগানো, সেচসহ নানা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন পেঁয়াজ চাষীরা। গেলো বছর পেঁয়াজের ভালো দাম পাওয়ায়, এ বছর আবাদের পরিমান কিছুটা বেড়েছে। অপরদিকে সরকারি প্রণোদনার বীজ বপন করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরা, বিস্তীর্ণ জমিতে চলছে পেঁয়াজ চাষ। দল বেঁধে পেঁয়াজের চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। এ যেন পেঁয়াজের চাষের মহোৎসব। দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ পেয়াজ উৎপাদনকারী ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পেঁয়াজের চারা উৎপাদনের পর তা জমিতে রোপনের ধুম পড়েছে। জেলাজুড়ে, লালতীর, এমাস কিং, তাহেরপুরি, বারি-১ সহ বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজ রোপন করা হয়েছে। তবে সার, কীটনাশক ও মজুরি খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছুটা বিপাকে ফেলেছে কৃষকদের। গত বছর পেঁয়াজের ভালো দাম পাওয়ায় এবছর পেঁয়াজের আবাদ কিছুটা বাড়লেও কৃষকদের অভিযোগ মৌসুমের শুরুতে সরকারি প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজ ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা। ফলে বাজার থেকে কেনা পেয়াজ বীজেই লাভের আশা করছেন তারা। এদিকে সরকারি বীজে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে পুনরায় প্রনোদনার পেয়াজ বীজ বিতরণের মাধ্যমে এই ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া হয়েছে বলে দাবি জেলার কৃষি অফিসের। নগরকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তিলোক কুমার ঘোষ বলেন, নগরকান্দা উপজেলায় এবছর ৮ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের জন্য লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে এবছর ফরিদপুর জেলায় ৪৬ হাজার ২শ ৬০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গেলো বছরের তুলনায় ১৩০ হেক্টর বেশি।