বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
পাঁচবিবি পৌরসভার প্রধান ড্রেনটি দীর্ঘ ২৫ বছরেও সংস্কার হয়নি: দুর্ভোগে এলাকাবাসী বর্ণাঢ্য আয়োজনে উলিপুর প্রেসক্লাবের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত জগন্নাথপুর থানার ওসি রুহুল আমীন জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত চকরিয়ায় মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধে সড়ক পুলিশের মাইকিং কালীগঞ্জ পৌরসভায় টিসিবি-র পণ্য বিতরণে অব্যবস্থাপনা এবং ব্যাপক অনিয়ম রূপগঞ্জে টায়ারস কারখানায় আগুনে ১৮২জন নিখোঁজ, স্বজনদের থানায় অবস্থান চরফ্যাসনের চরাঞ্চলে মহিষ পালনে সংকট ও সম্ভাবনা চকরিয়ার বদরখালীতে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আটক ৮ পটুয়াখালীতে সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের মিলনমেলা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা পিরোজপুরে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ

পরকালে ছিনতাইকারীর কঠিন পরিণতি

ইসলাম ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২৫

অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ হস্তগত করার একটি উপায় হলো ছিনতাই। ইদানীং পত্রপত্রিকা খুললেই চোখে পড়ে ছিনতাইয়ের খবর। কিছু কিছু খবরে তো ছিনতাইকারীদের হাতে মানুষের প্রাণনাশেরও খবর পাওয়া যায়। অথচ অন্যের সম্পদ হস্তগত করার এই পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ কোরো না এবং এ উদ্দেশ্যে বিচারকের কাছে এমন কোনো মামলা কোরো না যে মানুষের সম্পদ থেকে কোনো অংশ জেনেশুনে গ্রাস করার গুনাহে লিপ্ত হবে।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৮) হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবু রায়হানা (রা.) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ১৯টি কাজ নিষেধ করেছেন। (১) দাঁতকে ধারালো করা। (২) শরীরে উলকি লাগানো।
(৩) (সৌন্দর্যের জন্য) মুখের পশম উঠানো। (৪) কাপড়ের আবরণ ব্যতীত দুজন পুরুষের একই চাদরের নিচে শয়ন করা। (৫) কাপড়ের আবরণ ছাড়া দুজন মহিলার একই চাদরে শয়ন করা। (৬) আজমিদের ন্যায় জামার নিচে রেশম ব্যবহার করা।
(৭) অথবা আজমিদের ন্যায় জামার কাঁধে রেশম ব্যবহার করা। (৮) ছিনতাই করা। (৯) চিতার চামড়ার গদির ওপর সওয়ার হওয়া এবং (১০) শাসক ব্যতীত অন্য কারো পক্ষে সিলযুক্ত আংটি ব্যবহার করা। (মিশকাত, হাদিস : ৫৪০৩)
অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করা নিজের জন্য জাহান্নাম বরাদ্দ দেওয়ার নামান্তর। এটা ঈমান পরিপন্থী কাজ।
কোনো মুমিন এই কাজে লিপ্ত হতে পারে না। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, সাঈদ ইবনে উফায়র (রহ.)…আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন, কোনো ব্যভিচারী মুমিন অবস্থায় ব্যভিচার করে না এবং কোনো মদ্যপায়ী মুমিন অবস্থায় মদ পান করে না। কোনো চোর মুমিন অবস্থায় চুরি করে না। কোনো লুটতরাজকারী মুমিন অবস্থায় এরূপ লুটতরাজ করে না যে যখন সে লুটতরাজ করে তখন তার প্রতি লোকজন চোখ তুলে তাকিয়ে থাকে। (বুখারি, হাদিস : ২৩১৩)
অর্থাৎ উল্লিখিত কাজগুলো ঈমান পরিপন্থী কাজ। কেউ যখন এসব কাজে লিপ্ত হয় তখন সে পরিপূর্ণ মুমিন থাকে না। তার অন্তরে ঈমানের নুর থাকে না। এখানে এটা উদ্দেশ্য নয় যে সে কাফির হয়ে যাবে। কাফির না হয়ে গেলেও এগুলো যে জঘন্যতম অপরাধ তা এই হাদিস দ্বারা স্পষ্ট হয়ে যায়। অন্য হাদিসে এই কাজের আরো ভয়াবহ পরিণতি উল্লেখ করা হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, …আর যে ব্যক্তি অন্যের সম্পদ ছিনতাই করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৩৪০)

এর চেয়ে বড় অভিশাপ আর একটা মুমিনের জন্য কী হতে পারে! যাকে নবীজি (সা.) নিজের উম্মত বলে স্বীকার করবেন না। মহান আল্লাহ সবাইকে এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com