মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কেনাকাটা ও রোগীদের খাবারে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগের নেতৃত্বে একটি দল। দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটির নাম পরিবর্তন করে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের পিতা কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নামকরণ করা হয়। হাসপাতালটি চালুর পর থেকেই বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতেই আজ দুদক অভিযান পরিচালনা করে। দুদকের অভিযানের প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে কম্বল, ম্যাট্রেসসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনাকাটায় বাজার মূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দাম দেখানো হয়েছে। দুদক সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মন্জুর সোহাগ বলেন, ‘আমরা হাসপাতালের কেনাকাটার স্টক যাচাই করেছি। অভিযোগ ছিল, কমদামে কম্বল কিনে বেশি দামে বিল করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নি¤œমানের কম্বল বেশি দামে কেনার প্রমাণ পেয়েছি, যেখানে বড় ধরনের আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত ২২০ গ্রাম মাছের পরিবর্তে দেওয়া হচ্ছে মাত্র ১৫৫ গ্রাম। এছাড়া খাবার সরবরাহে আরও বেশ কিছু অনিয়মের প্রমাণও পাওয়া গেছে। দুদক হাসপাতালের কেনাকাটা ও টেন্ডার সংক্রান্ত নথি সংগ্রহ করেছে। তদন্তে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এদিকে, হাসপাতালের সহকারী পরিচালক সৌমেন চৌধুরী জানান, দুদক কর্তৃপক্ষ ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের সকল কেনাকাটার হিসাব আগামী সোমবারের মধ্যে জমা দিতে বলেছে।