শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ছাতকের বিভিন্ন কোয়ারি থেকে লিজ ছাড়াই বালু উত্তোলন ও বিক্রির অভিযোগ নড়াইলের কালিয়ার কৃষক কায়কোবাদ সিকদার শীতকালীন উচ্চ ফলনশীল টমেটো চাষে লাভের আশাবাদী কুনিয়া বড়বাড়ির হাজী আবুল হাসেম সরকার একাডেমীর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা তারাকান্দায় তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ ধনবাড়ীতে জনপ্রিয় হচ্ছে রঙিন ফুলকপি চাষ মৃৎশিল্পীদের জীবনসংগ্রাম: গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য বিলুপ্তির পথে গঙ্গাচড়ায় ধামুর পূর্বপাড়া বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ বিনা চাষে সরিষা আবাদ রিলে পদ্ধতিতে নতুন সম্ভাবনা, আগামীতে বাড়বে আরো উৎপাদন রায়গঞ্জে দেড়াগাঁতী রুদ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫৪তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা দৌলতখান সরকারি আবু আব্দুল্লাহ কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

ছাতকের বিভিন্ন কোয়ারি থেকে লিজ ছাড়াই বালু উত্তোলন ও বিক্রির অভিযোগ

হাবিবুর রহমান নাসির ছাতক
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৫

ছাতকের বিভিন্ন বালু মহলে সরকারি লিজ ছাড়া অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের হিড়িক চলছে। একটি প্রভাবশী মহল সোনাই নদী, চেলা নদী, মরা চেলা, চলিতার ঢালা, পিয়াইন নদী থেকে প্রতি রাতে সরকারি কর ফাঁকি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার বালু উত্তোলন ও বিক্রি করছে। রাতের বেলায় ইসলাম পুর ইউনিয়নের বিভিন্ন কোয়ারির নদীর তলদেশ থেকে বেশ কয়েকটি স্ক্যাভেটর বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে নদীর উভয় পাড়ের ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা পড়েছে হুমকির মুখে। নদীর তল দেশ থেকে নদীর পাড়ে ট্রাকভর্তি করে বালু নিয়ে যেতে নদী গুলোর বিভিন্ন স্থানে বাঁধ নির্মাণ করে রাস্থা তৈরী করেছে আরো একটি চক্র। তারা তাদের নির্মিত রাস্থা ব্যবহারের জন্য ট্রাক প্রতি ট্যাক্স আদায় করছে। এভাবেই সরকারি লিজ বহির্ভূত স্থান, নদী-ঢালার বালু মহাল থেকে রাতে-রাতে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের বাড়ি ঘর ভেঙ্গে পড়লে ও তারা কেউ বাঁধা দিতে পারছেনা এ প্রভাবশালী সিন্ডিকেটকে। নদীর পাড়ের বাসিন্দাদের দাবি বর্ষা মৌসুমে বালু উত্তোলন করলে তাদের তেমন ক্ষয় ক্ষতি হয়নি। হেমন্তে নদীর তলদেশ শুকিয়ে গেছে এখন নদী থেকে বালু উত্তোলন করলে পাড়ের ঘর-বাড়িতে এর প্রভাব পড়ে। নদীর পাড় ভেঙ্গে যায় এতে ক্ষতিগ্রস্থ হন দুই পাড়ের বাসিন্দারা। তারা জানান,স্ক্যাভেটরের শব্দে রাতে ঘুমাতে ও কষ্ট হয় তাদের। এব্যাপারে প্রশাসনের জরুরী উদ্যোগ নেয়া দরকার বলে এসব এলাকার বাসিন্দারা জানান। ইসলাম পুর ইউনিয়নের সৈদাবাদ, রহমতপুর, নোয়াকোট, হাদা গনেশপুর, পান্ডব, বৈশাকান্দি, পুরান নোয়াকোট, বাহাদুর পুর কোনিমোরা, বেজপাড়া, চৈকিত্তা, শারপিন টিলা, কুমারদানি, মোল্লা পাড়া, ব্রান্মণগাও, গ্রামের বেশ কিছু লোকজন জানানষ প্রশাসনের লোকজনকে ম্যানেজ করেই বালু খেকো চক্র এই তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা তাদেরকে বাঁধা দেয়ার সাহস পায় না। এই চক্র অত্যন্ত শক্তি শালী। এব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভুমি) আবু নাছের জানান, ছাতক ছাড়াও কয়েকটি কোয়ারী এলাকা দোয়ারাবাজার ও কোম্পানিগঞ্জের আওতায় রয়েছে। আমরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাঁধা দিয়ে যাচ্ছি। অভিযান চালিয়ে একাধিক বার লোক ও সরঞ্জামাদি আটক করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ছাতক, দোয়ারাবাজার ও কোম্পানিগঞ্জ থানা পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীদের নিয়ে অচিরেই এসব এলাকায় যৌথ অভিযান হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com