ঢাকা মহানগরীর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান নাদিমকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর সরকার নাটক সাজিয়ে আবারো জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকার নিজেদের ব্যর্থতা, দুঃশাসন, দুর্নীতি, লুটপাট ও ভোট ডাকাতির নির্বাচন আড়ালের উদ্দেশ্যে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সুপরিকল্পিতভাবে ঢাকায় গণপরিবহনে আগুন দিয়েছে। এখন সেই ঘটনার দায়-দায়িত্ব বিএনপির ওপর জবরদস্তিমূলক চাপিয়ে দিতে ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট মামলা দায়েরের মাধ্যমে বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে হয়রানি ও গ্রেফতার করছে এবং গ্রেফতারের নামে বাসাবাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুরসহ পরিবারের সদস্যদের সাথে অশালীন ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী যখন নিন্দা ও ধিক্কারের ঝড় উঠেছে, তখন সরকার স্বভাবসুলভভাবে মিথ্যাচার ও নাটক সাজিয়ে আবারো জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছে। সরকার বলছে, সিসি টিভি ফুটেজ দেখে মামলা হয়েছে, অথচ একটি মামলার বাদি হিসেবে যাকে দেখানো হয়েছে তিনি নিজেই অস্বীকার করেছেন যে, তিনি মামলা দায়ের করেননি। ভুয়া বাদির সেই মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছে। অন্য দিকে করোনাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে-বিদেশে হাসপাতালে বা বাসায় দীর্ঘদিন থেকে চিকিৎসাধীন, কোয়ারেন্টিন কিংবা আইসোলেশনে থাকা এমনকি দুই বছর ধরে পঙ্গুত্ব বরণকারী নেতাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারী নেতাকর্মীদের এহেন মিথ্যা অভিযোগে আসামি করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী সিসি টিভি ফুটেজ অনুযায়ীই যদি আসামি করা হয়ে থাকে, তাহলে প্রশ্ন- বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ^র চন্দ্র রায়সহ অসুস্থ, আহত, চিকিৎসাধীন কিংবা ঢাকার বাইরে ও বিদেশে অবস্থানরত নেতাকর্মীদের মামলায় আসামি করা হলো কিসের ভিত্তিতে? প্রকৃত অর্থে এই মামলাগুলো যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বানোয়াট তা সুনিশ্চিত। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই ফ্যাসিবাদী সরকারের এই অপতৎপরতা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফেনী জেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী রাসেল পাটোয়ারীকে গ্রেফতারের ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।