নোয়াখালী বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র পদপার্থী আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ভোট জালিয়াতি করলে সে কেন্দ্র প্রয়োজনে ১০বার ভোট হবে। কারও বাবার শক্তি নাই ভোট কেন্দ্র দখল করার। বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে ওবায়দুল কাদের আমার সাথে নাই, কেন্দ্রীয় আ’লীগ আমার সাথে নাই, নোয়াখালী আ’লীগ ও ফেনীর আ’লীগ আমার বিরুদ্ধে অস্ত্র-শ্বস্ত্র বানাইছে। কোম্পানীগঞ্জ আ’লীগ আমার সাথে নাই, বসুরহাট আ’লীগ আমার সাথে নাই। ডিসি, এসপি, জেলা নির্বাচন অফিসার আমার সাথে নেই। আমি সত্য কথা বলছি। আপনারা জনগণ আমার সাথে আছেন। আমার এলাকার কিছু আমাদের আ’লীগ নেতা আমার সাথে আসে চেহারা দেখানোর জন্য। আমাদের আ’লীগের কিছু নেতাকর্মী আছে, আমার ভোটও করে, আবার বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী ও স্বতন্ত্র কাউন্সিলর প্রার্থী সাংবাদিকের পক্ষে ভোট করে। তিনি আরও বলেন, আমাকে একটি জায়গায় দুর্বল করে দেয়, সেটা হলো ওবায়দুল কাদেরের অসুস্থতা। তিনি মরে যাবেন একথা শুনলে আমি দুর্বল হয়ে যায়। ওবায়দুল কাদের জাতীয় নেতা, তিনি ২বার আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন, আল্লাহ ওনাকে অনেক সম্মান দিয়েছে। তিনি বলেন, নারায়ানগঞ্জের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু টকশোতে বলেছেন আমার এলাকায় দলের মধ্যে নাকি দুই ভাগ, দলে নাকি আভ্যন্তরিণ কোন্দল আছে, তিনি বলেন আমি নাকি বিএনপি ও জামায়াতের ভোট পাওয়ার জন্য, ভোটের মাঠ গরম করার জন্য এসব কর্মকান্ড করতেছি। আমি এমপি সাহেব কে বলতে চাই আমার এলাকায় দলের মধ্যে কোন ভাগ নেই আভ্যন্তরিণ কোন্দল ও নেই। এমপি সাহেব আমার বয়সে ছোট, আল্লাহ আপনাকে এমপি বানিয়েছেন। আমি ঢাকায় পড়ালেখা করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ওবায়দুল কাদের সাহেব আমাকে বলে তুমি চট্টগ্রাম ভর্তি হও। ঢাকায় ভর্তি হলে আমি বড় নেতা হয়ে যাব। তিনি আমাকে রাজনীতিতে এগিয়ে যাবার সুযোগ দেন নেই। আমি ঢাকয় ভর্তি হলে বড় নেতা হয়ে যাব, সেটা তিনি চান নাই। মির্জা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স এর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি দাবী করেন, অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নুরা পাগলার পক্ষ হয়ে একসাথে মুক্তিযুদ্ধাদের কোটা বিরোধী আন্দোলন করেছেন। হায়রে মুক্তিযুদ্ধার পক্ষের দল, এটাকি আপনাদের রাজনীতি। আজ আমার এখানে পথসভায় যে লোকজন হয়েছে, সারা বাংলাদেশে আপনারা যেখানে জন সভা করবেন, এ পথসভার লোক হবে না। আপনার হলেন সাইনবোর্ড স্বর্বস্ব দল। তিনি আরো বলেন, ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বচনের সময় সারা বাংলাদেশের আওয়ামীলীগের জয় জয়কার, সেখানে এই সময় বৃহত্তর নোয়াখালীতে ১৩ আসনের মধ্যে আওয়ামীলীগ পেয়েছে মাত্র ২ আসান। সেই সময় নোয়াখালীতে মেজর মন্নান নির্বাচন করাতে বিএনপির ভোট ভাগ হয়ে যায় এ কারণে একরাম চৌধুরী এমপি হয়েছেন। ফেনীর এমপি নিজান হাজারী বলে নাকি বিএনপির দুর্গ ভেঙেছে, কতটুকু দুর্গ ভেঙেছে দেশবাসী সবই জানে। এদের দুর্ণীতির ইতিহাস, হত্যার ইতিহাস, আনিয়মের ইতিহাস সবাই জানে। সুষ্ট ভোটে এই দুইজন এমপি নির্বাচিত হলে আমি হিজরত করব। তাদের জামানত থাকবে না। তিনি ডি সি মোহাম্মদ খোরশেদ আলমের উদ্যেশ্য বলে, ডিসি সাহেব আপনার মুখে একরাম চৌধূরী লেখা মাস্ক, আপনি একরাম চৌধূরীর মাস্ক মুখে লাগিয়েছেন। আপনি এই মাস্ক লাগতে পারেন না। আপনি নোয়াখালী জেলার অভিভাবক, আপনি থাকবেন নিরপেক্ষ। তিনি রবিবার সকালে বসুরহাট পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের হাজী পাড়ায় এক নির্বাচনী পথসভায় এসব কথা বলেন, এসময় উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক নাজিম, আ’লীগ নেতা আইয়ুব আলী, চরফকিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন লিটন ও স্থানীয় আ’লীগের নেতাকর্মীরা। তিনি বলেন, আওয়ামী যুব মহিলা ললীগের এক নেত্রী আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। আমি এ ব্যাপারে প্রশাসনকে বলেছি, প্রশাসন মোবাইল ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে এর সতত্যা খুঁজে পেয়েছেন। তারপরও এ মহিলার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তিনি আরও বলেন, আমি নোয়াখালীর ১১ জন দুর্ণীতিবাজ নেতার নাম নেত্রীর কাছে পাঠিয়েছি। আমাকে মেরে ফেললে নেত্রী এদেরে বিচার করবেন। অস্ত্রের ঝন ঝনানি, আকাশে বাতাশে বারুদের গন্ধ পাচ্ছি, যেকোন সময় আমার জীবনের অবসান হতে পারে। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আগামী ১৬তারিখে আমাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন। মির্জা কাদের বলেন, একজন নেতা নোয়াখালী নিয়ন্ত্রন করে, তার লেদা হোলাকে নেতা বানিয়েছে, নোয়াখালী নেতারা লেদা হোলার ছবি বুকের ওপর লাগিয়ে চলাফেরা করে। নোয়াখালী শহর আ’লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু তার বুকের লগে লেদা হোলার ছবি লাগিয়েছে। সে নাকি আগামীবার পৌরসভার মেয়র পদে নির্বাচন করবে। পিন্টু আমাদেরও নেতা। আহারে শরম যদি লাগেগো, ঘোমটা দিয়ে চলগো। এই লজ্জা কোথায় রাখি।