আমরা বাংলাদেশি, ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য। চাল সিদ্ধ করে ভাত রান্না করা হয়। আমরা সবাই মাছে-ভাতে বাঙ্গালী। বেশিরভাগ লোকজন তিন বেলাই ভাত খেয়ে থাকেন, বিশেষ করে গ্রামা লে। অন্য যা কিছুই খাওয়া হউক না কেন, ভাত না খেলে ক্ষুধা মিটে না ও তৃপ্তিও হয় না, মোটকথা ভাতেই খেতে হবে।
ভাত নিয়ে আমাদের একটা ভুল ধারণা আছে যে, ভাত খেলেই ওজন বেড়ে যায় দ্রুত। কিন্তু এ ধারণা একেবারে ভুল। ভাত কার্বোহাইড্রেটের উৎস হলেও এতে চার থেকে পাঁচ গ্রাম প্রোটিন থাকে কিন্তু কোন ফ্যাট নেই।
ভাত ভিটামিন বি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস। যাদের ভাত পছন্দ তারা ভাত খেলে মোটা হয়ে যাবেন বা এর ক্ষতি অনেক এরকম চিন্তা ভাবনা বাদ দিন। ভাত শরীরের জন্য কেন জরুরি তা জানার আগে ভাতের যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে সেগুলো আমাদের জানতে হবে।
রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে: সাদা ভাতের যে মাড় রয়েছে তাতে উচ্চতর মাত্রায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রয়েছে। যখন কোন খাবারের সাথে আপনি ভাত খান যেমন সবজির সাথে যদি ভাত খান তবে রক্তে শর্করার বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে ভাত। তবে আপনার যদি ডায়াবেটিস হয়ে থাকে তবে আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিন।
গ্লুটন ফ্রি: আঠালো-মুক্ত ভাত একটি হাইপোলোর্জিক খাবার এবং অনেকের জন্য বিষয়টি আশীর্বাদ। আবার যাদের ভাত পছন্দ না তারা সহজেই আটা,নুডলস,রুটি খেতে পারেন। এগুলো ভাতের বিকল্প।
শক্তি সরবরাহের উৎস: ভাত যেহেতু কার্বোহাইড্রেটের উৎস তাই একে শক্তিঘরও বলা হয়। ভাত খেলে শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তি আসে।
হার্ট সুস্থ রাখতে: আপনি যদি আপনার আদর্শ খাবার হিসেবে ভাত বেছে নেন তাহলে আপনার হার্ট ভালো থাকবে। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ভাত রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি আরও কমিয়ে দেয়।
সহজে হজম: ভাত সহজপাচ্য হওয়ায় খুব সহজেই হজম হয়ে যায়। শুধু রান্না করা সহজ নয়, ভাত হজম করাও খুব সহজ। বাদামি চালে যেমন ফাইটিক অ্যাসিড নামে একটি যৌগ থাকে সাদা ভাতে তা থাকে না যা হজমে সমস্যা তৈরি করে। এছাড়া ভাত খেলে ঘুমও ভালো হয়।
অন্ত্রের সুস্থতা: আপনি যখন সাদা ভাত খান তখনও আপনি দ্রবণীয় ফাইবারের একটি বিশাল ডোজ পেয়ে যাবেন বাটায়ারেট নামক প্রতিরোধী স্টার্চে। এই বাটায়ারেট আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখে। এজন্য ডায়রিয়া হলে বেশিরভাগ সময় সিদ্ধ চাল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।