গাজীপুরের কালীগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নালিশী জমি থেকে জোরপূর্বক গাছ কর্তন ও বাড়ির সিড়ি ভাঙ্গচুরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সহিদুল ইসলাম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালীগঞ্জ উপজেলার জাংগালিয়া ইউনিয়নের বাঙ্গালগাঁও গ্রামের ফকির বাড়ি এলাকায়। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শহিদুল্লাহ ইসলাম জানান-নালিশী জমি হইতে গাছ কর্তন করিনি। আমি এলাকার স্বার্থে আমার পৈত্রিক জমি থেকেই গাছ কর্তন করেছি। ভুক্তভোগী মোসাদ্দেকুর রহমান ও সাকাওয়াত হোসেন গং জানান-পূর্ব শত্রুতার জেরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আমাদের জমির হইতে গাছ কাটা ও বাড়ীর সিঁড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। সিমানা নির্ধারন করে রাস্তা করতে আমাদের কোন বাধা নেই। শনিবার সকালে সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, বিরোধপূর্ন ওই নালিশী জমি নিয়ে এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে একাদিক বার সালিশ বৈঠক বসেও কোন প্রতিকার পায়নি ভূক্তভোগীরা। পরে মোসাদ্দেকুর রহমান ও সাকাওয়াত হোসেন গং গাজীপুর অতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্রেট আদালতে ওই নালিশী জমিতে ১৪৫ ধারায় পৃথক পৃথক দুটি মামলা করেন। আদালত ১৪৫ ধারা জারি করলেও আদালতকে বৃদ্ধাআঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতিপক্ষ লোকজন সহিদুল ইসলাম, সাহেদ, মামুন, মোশারফ, নূরুল হক, আতাউর রহমান, আজিজুল হক, দেলোয়ারসহ অজ্ঞাত নামা আরে ২০/২৫ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের নিয়ে জোরপূর্বক সাখাওয়াত হোসেনের বাড়ীর সিঁড়ি ভাঙ্গচুর ও মোঃ মোসাদ্দেক ফকিরের তাল, আম ও কাঠালসহ বেশ কয়েকটি ফলদ গাছ কেটে ফেলে প্রতিপক্ষরা। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন-অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গ রাস্তার করার জন্য গাছ কাটতে বলেছেন। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এ.কে.এম মিজানুল হক বলেন ঘটনা শুনেছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।