দধি বা দই প্রস্তুত করা হয় ব্যাক্টেরিয়ার গাঁজন হতে। এটি বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খাদ্য হিসেবে পরিচিত। এক গবেষণায় দেখা গেছে, দইয়ে উপস্থিত ল্যাকটোব্যাসিলাস এবং স্ট্রেপটোকক্কাস থ্রেমোফিলাস নামক দুটি ব্যাকটেরিয়া রোধ করে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে।
আর পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, এটি হাড়ের রোগ নিয়ন্ত্রণেও কায্যকরী ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’ থাকায়। প্রায় চার হাজার বছর ধরে প্রস্তুত হচ্ছে দই।
গবেষণায় বলছে, দইয়ে আছে রিবোফ্লভিন, পাইরডক্সিন, কোবালামিন ও ভিটামিন ডি। আর খনিজ উপাদানের মধ্যে রয়েছে জিংক, পিটাশিয়াম,ফসফরাস ও আয়োডিন। বাড়িতে দুধ থেকে সরাসরি বানিয়ে খাওয়া যায় দই। এছাড়াও কোরমা, সালাদ অথবা মাংস রান্নার সুবাদে ভোজনবিলাসীর পাতে এনে দেয় ভিন্ন স্বাদ। দইয়ে রয়েছে অসংখ্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া যা সহজে হজমে সহায়তা করার পাশাপাশি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে আরো রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি যেটি কাজ করে হাড়ের রোগ , অস্টিওপরোসিস ও আর্থারাইটিস নিয়ন্ত্রণে। এটা গ্যাস হলে এমনকি সর্দি হলে দইয়ের ঘোল পান করে মেলে উপকারিতা। কোষ্ঠকাঠিন্য , ডায়রিয়া, কোলন ক্যান্সার ও অন্ত্রের সমস্যা দূর করতে কার্যকরী দই। আর ভিটামিন ডি কাজ করে পেটের ভিতর ঘাঁ সারাতে। তবে কিডনির সমস্যায় নিয়ম মেনে খেতে হবে দই।