লালমনিরহাটের পাটগ্রামে নিজ নামীয় সম্পত্তিতে ফসল নষ্ট করে আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে সাবেক ইউপি সদস্য আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হবি নামে এক কৃষক। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে তিনি সোমবার দুপরে বুড়িমারী ইউনিয়নের কামারের হাটে তার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এদিকে ওই ঘর নির্মানে অনিয়ম হচ্ছে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হবি দাবী করেন ওই মৌজার ১১৪০ খতিয়ানের ৯.১৬ একর জমি ১৯৬৯ সালে ৫৭৫২ নম্বর দলিল রেজিস্ট্রি মূলে ক্রয় করেন। উক্ত জমিতে বসতবাড়িসহ তার ভোগদখলে থাকা অবস্থায় ইউনিয়ন তহসিলদার ১৯৯০ সালে চক্রান্ত করে ১নং খাস খতিয়ানে অর্ন্তভুক্ত করেন। এ ঘটনায় আদালতে তিনি ৬৫/১৫ মামলা দায়ের করেন। কিন্তু ১৯৯০ সালের বিআরএস রেকর্ড গেজেট না হওয়ায় আদালত তার মামলাটি খারিজ করে দেন। পরে তিনি গত ২৫ জানুয়ারি লালমনিরহাট জেলা জজ আদালতে আপিল করলে বিজ্ঞ আদালত তাও খারিজ করে দেন। হাবিবুর রহমান বলেন গত ৯ ফেব্রুয়ারী সুপ্রিমকোর্টের হাইকোট বিভাগে ওই জমি উদ্ধারে একটি আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের প্রেক্ষীতে বিজ্ঞ আদালত শুনানী শেষে গত ১৮ ফের্রুয়ারী ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দিয়ে একটি রুল জারী করেন এবং ৪ সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের প্রতি রুলের জবাব দিতে বলেন। মামলায় বিবাদী করা হয়েছে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পাটগ্রাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং বুড়িমারী ইউনিয়ন তহশিলদার। হাবিবুর রহমান অভিযোগ করেন আদালত ৬ মাসের স্থিতিবস্থা দিলেও স্থানীয় প্রশাসন আদালতের সেই স্থগিতাদেশ অমান্য করে প্রকল্পের কাজ অব্যহত রেেেখছে। তিনি আরো অভিযোগ করেন নালিশী জমিতে তার ভুট্রা তামাক এবং আলু ক্ষেত ছিলো। এসব ফসল বিনষ্ট করে ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে তার প্রায় দুই লাখ টাকার ফসল বিনষ্ট করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন হাবিবুর রহমানের ছেলে বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রফিকুল ইসলাম বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মো. ফিরোজ মো. বাবুল সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক। এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন নাহারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, আমরা হাইকোর্টর নির্দেশনা অনুসরন করছি। তিনি তো এর আগে জজ কোর্টে মামলা করে হেরে গেছেন। এই মামলায়ও আমরা আদালতে সবকিছু প্রমান করবো। এদিকে আশ্রয়ণ প্রকল্পে নি¤œমানের ইট কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। আবার ইটের গাঁথুনীতে সীমেন্টের পরিমান কম দেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। প্রকল্পের নির্মাণ কাজে অনিয়ম দেখে কিছুদিন আগে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন।