মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী উপহার স্বরূপ ইউনিয়ন পর্যায়ে গৃহহীনদের বিনামূল্যে গৃহ প্রদান কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন।কিন্তু গৃহহীনদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা উৎকোচ চাচ্ছেন স্বয়ং ইউপি চেয়ারম্যান এমন অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১২ নং সালন্দর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের একাংশ। গত ৮ মার্চ স্থানীয়ভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানে মো: মাহাবুবু আলম মুকুলের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু এ সংবাদ সম্মেলনকে হাস্যকর ও ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলন বলে আখ্যায়িত করেছেন চেয়ারম্যান। সেই সাথে ইউনিয়নের জন্য একটি মানহানিকর ও মিথ্যা, ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলন করার কারনে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদও জানিয়েছেন তিনি।কথিত সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের সময় চেয়ারম্যান মাহাবুব আলম মুকুল এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এটি একটি হাস্যকর সংবাদ সম্মেলন যার কোন ভিত্তি নেই। আমার ইউনিয়নের সহজ সরল মানুষগুলোকে ভুলবুঝিয়ে আমার মান সম্মান তথা ইউনিয়নের মানসম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য এমন ঘৃন্য আয়োজন করেছে একটি কুচক্রী মহল। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ যদি প্রমান করতে পারেন তাহলে আমি সেকেন্ডর মধ্যে আমার পদ থেকে সরে দাড়াবো। আমার বিরুদ্ধে যে হাস্যকর অভিযোগ আনা হয়েছে তা আমার ইউনিয়নবাসী প্রত্যাখান করেছে। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ! আমি নাকি টাকা ছাড়া কাউকে ঘর দেইনি। এখন আমার প্রশ্ন হলো আপনারা তাদের কাছে যান যারা ঘর পেয়েছে। তারা আমাকে টাকা দিয়েছে নাকি? তাদের থেকে তো অলনাইন ফি পর্যন্তও নেওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ২১ টি পরিবারকে দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘরগুলো এখনো নির্মানাধীন। আপনারা যদি প্রমান করতে পারেন আমি একটি পয়সা কারো কাছ থেকে নিয়েছি তাহলে আমি সকল শাস্তি মাথা পেতে নেবো? আমি যদি টাকা ছাড়া ঘর নাই দেই তাহলে এতগুলো পরিবার কিভাবে ঘর পেলো? আমি যাদের ঘর প্রদানে সহযোগিতা করেছি তারা প্রত্যেকে গরীব। গিয়ে দেখেন তারা কিভাবে ঝুপড়িতে বসবাস করছে? তিনি আরও বলেন, আমার ইউনিয়নবাসীকে ভুল বুঝিয়ে কোন লাভ নেই। আমি ইউনিয়নের অভিভাবক। আমি বলছি সালন্দর ইউনিয়নে কোন গৃহহীন থাকবেনা। আমি ইউনিয়ন বাসীকে বলবো, আপনারা ধৈর্য্য ধরুন আমি আপনাদের ঘরের ব্যবস্থা করবো। শুধু একটু সময় দিন। আর এর জন্য কাউকে একটি টাকাও প্রদান করতে হবেনা। কেউ যদি টাকা চায় তাহলে তাকে চিহ্নিত করুন। আমি তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করবো। এ সময় তিনি ইউনিয়নবাসীকে গুজব থেকে সাবধান হতে বলেন, যেকোন প্রয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদে এসে সরাসরি চেয়ারম্যানের সাথে যাবতীয় সমস্যা খুলে বলার কথা বলতে অনুরোধ করেন। এদিকে সুবিধাভোগী পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমরা ঘরের জন্য কাউকে একটি টাকাও প্রদান করিনি। অনেকেই গুজব ছড়িয়েছিলো যে টাকা ছাড়া নাকি ঘর দিবেনা। আমরা গরীব মানুষ কোথায় টাকা পাবো? কিন্তু শেষ মেস সব গুজবের অবসান ঘটিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর উপহার ফ্রিতে পেয়েছি। আমরা অনুরোধ ও আহ্বান করবো আপনারা যারা আমাদের মতো গৃহহীন আছেন তারা ঘরের জন্য একটি টাকাও কাউকে দিবেন না। আমরা যেমন ফ্রিতে ঘর পেয়েছি আপনারাও ফ্রিতে ঘর পাবেন।