পেটের সমস্যা দূর করার জন্য একেবারে যথাযথ আপেল সিডার ভিনেগার। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় এই টনিক। শরীরের ওজন, কোলেস্টেরল, রক্তে শর্করার পরিমাণ কমানো সহ বহু উপকার করে অ্যাপেল সিডার।
আপেল সিডার ভিনেগার ওজন কমাতে সাহায্য করে। শর্করা সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পর ভিনেগার খেলে দিনের পরবর্তী সময়ে সহজে ক্ষুধা লাগে না। ওবেসিটি বা অতিরিক্ত মুটিয়ে যাওয়া রোগে আক্রান্ত ১৭৫ জনকে নিয়ে গবেষণা করে দেখা গেছে, রোজ আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার অভ্যাস ওজন কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে পেটের মেদ কমে। তবে অবশ্যই খাবার গ্রহণের পরিমাণও কমাতে হবে, শুধু ভিনেগারই ওজন কমাবে না। সাধারণত টক ওয়ানইকেই ভিনিগার বলতে বোঝায়। এটি তৈরি করার হয় আপেলের রসে ইস্ট ও ব্যাকটিরিয়া মিশিয়ে। অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারকে যদি প্রতিদিনের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা যায় তবে ওজন নিয়ন্ত্রণে আসতে সময় লাগে না ডাক্তারের পরামর্শ মতো। এই পানীয় দেহে প্রবেশ করলে খিদে কমে যেতে শুরু করে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের মতে, আপেল সাইডার ভিনেগার খাওয়া উচিত প্রতিদিন মাত্র ১ থেকে ২ টেবিল চামচ বা ১৫ থেকে ৩০ মি.লি.। সবচেয়ে ভালো হয় এ পরিমাণ ভিনেগার প্রতিদিন ২ থেকে ৩ ডোজে ভাগ করে খেলে। ভিনেগার খাওয়াই উত্তম সময় হলো প্রতিদিন খাবারের পূর্বে।
খাওয়ার নিয়ম
প্রতিদিন পানির সাথে মিশিয়ে পান করা যেতে পারে এটি। যেমন, এক গ্লাস পানি ১/২ টেবিলচামচ (৫-১০ মিলিলিটার) অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে খেতে পারেন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। ভিনেগার ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
উপকারীতা: ১. নিয়মিত খেলে ওজন কমে, এটি রক্তের শর্করা কমাতে সাহায্য করে। ২. উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে নিয়মিত ভিনেগার গ্রহণ করলে । ৩. হৃৎপি- সুস্থ থাকে। ৪. ত্বকের পি এইচের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
৫. ঘামের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া প্রতিহত করে। ৬. কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়াসহ অন্ত্রের অন্যান্য রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। ৭. পা ব্যথা, পেট খারাপ, গলা ব্যথা, সাইনাসের চিকিৎসায়ও কাজে দেয় আপেল সিডার ভিনেগার।