দেশীয় মালিকানায় প্রথম হ্যান্ডসেট ব্র্যান্ড সিম্ফনি শুরু করল ই-বর্জ্য পুনঃব্যবহার প্রকল্প। গত বছরের নভেম্বরে সিম্ফনি মোবাইলের সঙ্গে ই-বর্জ্য পুনঃব্যবহারের জন্য চুক্তি হয় জেআর রিসাইক্লিং সল্যুশন লিমিটেডের। এই চুক্তির আওতায় রোববার (২১ মার্চ) জেআর রিসাইক্লিং সল্যুশন লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম এ হোসাইন জুয়েলের হাতে প্রায় দুই হাজার কেজি ই-বর্জ্য তুলে দেন সিম্ফনি মোবাইলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাকারিয়া শাহিদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিটিআরসির পক্ষ থেকে সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর, স্পেকট্রাম, মোহাম্মদ জাকারিয়া ভুঁইয়া এবং ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর, স্পেকট্রাম, রেজাউল সাবিরসহ দুই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
এম এ হোসাইন জুয়েল জানান, বাংলাদেশে প্রথম মোবাইল ব্র্যান্ড হিসেবে সিম্ফনি মোবাইলই সবার আগে ই-বর্জ্য রিসাইক্লিংয়ের কাজে হাত দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অনেক কোম্পানিই ইতোমধ্যে জে আর রিসাইক্লিং লিমিটেডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কিন্তু সিম্ফনিই সবার আগে এগিয়ে এসেছে ই-বর্জ্য সঠিকভাবে রিসাইক্লিং করার জন্য।
মুহাম্মদ জাকারিয়া ভূঁইয়া তার বক্তব্যে জানান, বর্তমান পৃথিবীতে ই-বর্জ্য একটি অন্যতম প্রধান সমস্যার নাম, যার কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। কেবলমাত্র মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সৃষ্ট ই-বর্জ্যই নয় বরং সব ধরনের ই-বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার জন্য আন্তরিক অনুরোধ জানান। এরপর তিনি সিম্ফনি এবং জেআর রিসাইক্লিং সলিউশন লিমিটেডকে সমন্বিতভাবে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ গ্রহণ করায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
তিনি আরও জানান, টেলিকম ইকুইপমেন্টের মাধ্যমে সৃষ্ট ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে দেশের টেলিকম খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বিটিআরসি হতে যথাযথ নিয়ম মেনে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হবে। পরিবেশ বাঁচাতে হলে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি এর পুনর্ব্যবহার অর্থাৎ রিসাইক্লিংয়ের বিকল্প নেই।
সিম্ফনি মোবাইলের এমডি জাকারিয়া শাহিদ বলেন, সিম্ফনি বাংলাদেশে অনেক অনেক নতুন পদক্ষেপের উদ্যোগ নিয়েছে এবং এরই ধারাবাহিকতায় সিম্ফনি জন্ম দিল নতুন মাইলফলকের। এ সময় তিনি বিটিআরসি এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটির অংশ হিসেবে এখন থেকে সিম্ফনি মোবাইল তাদের সকল ডিলার এবং রিটেইল পয়েন্টে পুরোনো ফোন যেগুলো এখন আর কেউ ব্যবহার করেন না সেসব ফোন জমা দেয়ার জন্য ব্যবস্থা করবেন এবং সিম্ফনি মোবাইলে যারা কর্মরত তাদের কাছ থেকেও নষ্ট হয়ে যাওয়া ফোন জমা নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে এবং প্রতি ছয় মাস পরপর এই ই-বর্জ্যগুলো জে আর রিসাক্লিংয়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে।