বরিশালে সিটি কর্পোরেশনের ময়লার ভাগাড়টি অত্র এলাকার বাসিন্ধাদের জন্য বিষফোড়া হয়ে দেখা দিয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের নির্দিষ্ট ডাম্পিং ব্যবস্থা না থাকায় শহরের সকল বর্জ্য নগরীর ৩ নং ওর্য়াডের পুরানপাড়া ও আংশিক হোসনাবাদ এলাকায় শহরের বর্জ্য এনে ফেলা হয়। ওয়ার্ডের হোসনাবাদ, কাউনিয়া, সাপানিয়া, পুরানপাড়া, মতাসার, গাউয়াসার এলাকার স্থানীয় বাসিন্ধারা ময়লার ভাগাড়ের পচা গলা দূগন্ধ এবং বর্জ্য পোড়ানোর গন্ধে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি ময়লার ভাগাড়টিতে কে বা কারা আগুন দেয়ায় গত এক সপ্তাহ যাবৎ বিসাক্ত বর্জ্য পোড়ার গন্ধে সন্ধ্যার আকাশে ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে থাকে যা কিনা খরার উপর মরার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে সাপানিয়ার স্থানীয় বাসিন্ধা মোঃ ফিরোজ জানান, অবহেলীত নগরীর তিন নাম্বার ওর্য়াডের বাসিন্ধাদের জন্য ময়লার ভাগাড়টি চরম দূর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। এমন কি দীর্ঘ দিনের ময়লা আর্বজনা পচা গন্ধে চারিদিকের পরিবেশ এতোটাই অযোগ্য হয়ে পড়েছে এখানকার ভূক্তভোগী জনসাধারন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ময়লার ভাগাড়টির কাছাকাছি বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবদুর রব সেরনিয়াবাত কলেজ, শহীদ আরজু মনি সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শেরেবাংলা নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাউনিয়া পৌর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশুদের বেবী কেয়ার একাডেমি, নতুন কুড়ি একাডেমি, জামেউল উলুম রাজ্জাকিয়া মাদ্রাসা, জোবেদা খাতুন ক্যাডেট মাদ্রাসা, পুরানপাড়া সরকারী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাপানিয়া মকবুল হোসেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি ইয়াতিমখানা রয়েছে। ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্র¯’ হচ্ছে এখানকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতী শিশুরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্ভাব্য ২০০৫ সালের দিকে তিন নং ওর্য়াডের পুরানপাড়ার ও হোসনাবাদ এলাকার আংশিক অংশ নিয়ে প্রায় ৬ একর জমির উপর ভাগাড়টিতে শহরের বর্জ্য এনে ফেলা শুরু হয়। যা দীর্ঘ বছরে পাহাড় সমান উচ্চতায় পৌসেছে। রাত দিন আগুন জ্বলায় পুরো ময়লার ভাগাড় জুড়ে বিসাক্ত ধোঁয়া চারিদিকে ছরিয়ে পড়ছে। যদি ও সিটি কর্পোরেশন এর তরফ থেকে পানি দিয়ে ধোঁয়া অনেকটা আয়ত্বে আনা হয়েছে। তবে এখনো সর্বত্র ধোঁয়ার কুন্ডলী উঠেছে। এ ছারা জীবনের শেষ সম¦ল দিয়ে ময়লার ভাগাড়টি সংলগ্ন সড়কের পাশে যারা বাড়ি ঘড় এবং ব্যবসা বানিজ্য দিয়েছিল তারা দূর্গন্ধে এলাকা ছেরে অনেক আগেই অন্যত্র চলে গেছে। এ ব্যাপারে বিসিসির পরিছন্ন কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, কয়েকদিন আগে ময়লার ভাগাড়টিতে কে বা কারা আগুন দিয়েছে। যার ফলে ধোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল । তবে আমাদের পক্ষ থেকে ফায়ার সার্ভিস দিয়ে পানি দেয়া হয়েছে। পানি দেয়া চলমান থাকবে । সিটিকর্র্পোরেশনের পক্ষ থেকে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পানি দিয়ে তা আয়ত্বে আনা হয়েছে। সিটিকর্পোরেশন থেকে জায়গা নির্ধারন করা হয়েছে। আশা করছি এটা আমরা স্থানান্তরীত করে শহরের প্রতিদিনের বর্জ্য রিফায়রিং করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। এ বিষয়ে ৩নং ওর্য়াডের কাউন্সিলর আলহাজ্জ¦ হাবিবুর রহমান ফারুক মীরা বলেন, ময়লার ভাগাড়টির স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা চলছে। কে বা কারা আগুন দেয়ায় ধোঁয়ায় সমস্যা হয়েছেল তবে সিটিকর্পোরেশন থেকে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।আগুনের ধোঁয়া বন্ধ করায় পানি দেয়া হয়েছে। ময়লার ভাগাড়টি স্থানান্তরীত করার জন্য সিটিকর্পোরেশন থেকে জায়গা অধিগ্রহন করা হয়েছে।আশা করি অচীরেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে মিটিংয়ে ব্যস্ত্য থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।