যারা বিএনপি-জামায়াত থেকে আওয়ামী লীগে ঢুকে পড়েছে তাদেরকে ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া হবে। কোনো অনুপ্রবেশকারীকে দলে ঠাঁই দেওয়া হবে না। এমনকি অনুপ্রবেশকারীদের দলে ঢুকতে সহযোগিতাকারীদেরও চিহ্নিত করার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক। মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) রাতে রামু উপজেলার চৌমুহনী স্টেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধের ঐক্য’ কক্সবাজার জেলা শাখা আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নানক বলেন, শেখ হাসিনার কঠোর নেতৃত্বে ঐক্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার ছিনিয়ে এনেছেন। রাষ্ট্র যখন এগিয়ে যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করছে। তারা মানুষের ঘর ও মন্দির পুড়িয়ে দিচ্ছে। বাংলাদেশে নির্বাচন প্রতিহতের নামে অগ্নি সংযোগের নামে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। ওরা এখন আমাদের ভেতর ঢুকিয়ে বিবাদ সৃষ্টি করছে তাদেরকেও ছাড় দেয়া হবে না বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। নানক আরও বলেন, স্বাধীনতার শক্তির বিপক্ষের লোকজনদের মাঝে যন্ত্রণা সৃষ্টি হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল দেশে একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। যেখানে সকলেই মিলেমিশে সুখে ও শান্তিতে বসবাস করবে। প্রত্যেকে নির্বিঘ্নে নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনাকে নষ্ট করে মানুষের মাঝে দ্বন্দ্ব-বিবাদ সৃষ্টি করতে ধর্মকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে একটি সুবিধাবাদী দল। তারা ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে সকল ধর্মের মানুষের সাথে খেলা করে। এটি আর হতে দেয়া যাবে না।
অনুষ্ঠানে রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধের ঐক্যে’র যুগ্ম আহ্বায়ক শামশুল আলম মন্ডলের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের ঐক্য’র উপদেষ্টা সোহেল সরওয়ার কাজল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের ঐক্য কক্সবাজার জেলা শাখার ঘোষিত ৩টি স্থানের মধ্যে সমাপনী হিসেবে ৩০ মার্চ রামু চৌমুহনী স্টেশনে এই অনুষ্ঠানমালা সম্পন্ন হয়।