বাংলাদেশ পোশাক রফতানিকারক ও মালিক সমিতির (বিজিএমইএ) দ্বি-বার্ষিক (২০২১-২০২৩) নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল থেকে বিজিএমইএ’র সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান নতুন সভাপতি নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। গত রবিবার (৪ এপ্রিল) দিনগত রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন সম্মিলিত পরিষদের নির্বাচন সমন্বয়কারী বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী।
তিনি বলেন, বিজিএমইএ নির্বাচনে ৩৫ পরিচালক পদের মধ্যে বিজয়ী ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদ ২৪ পদে বিজয়ী হয়েছেন। বর্তমান সভাপতি রুবানা হকের প্যানেল থেকে বিজয়ী হয়েছেন ১১ জন।
আব্দুস সালাম মুর্শেদী জানান, ফারুক হাসান বিজিএমইএর ১২তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হচ্ছেন। নির্বাচনে বিজয়ী পরিচালকরা সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচিত করবেন। সে হিসাবে বিজিএমইএ’র পরবর্তী সভাপতি হচ্ছেন ফারুক হাসান। আগামী ২০ এপ্রিল নতুন কমিটি দায়িত্ব নেবে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে অনানুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের তালিকা প্রকাশ করে সৈয়দ ফরহাত আনোয়ারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন বোর্ড। নির্বাচনে সর্বাধিক ১ হাজার ২০৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন ফারুক হাসান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ফোরামের প্রার্থী বিজিএমইএর বর্তমান সভাপতি রুবানা হক। তার ছেলে নাভিদুল হক বিজয়ী হয়েছেন। তবে ফোরামের দলনেতা এ বি এম সামছুদ্দিন ৯০৪ ভোট পেয়ে হেরেছেন।
বিজয়ী পরিচালকেরা আগামী ১৬ এপ্রিল সভাপতি ও ৭ জন সহ-সভাপতি নির্বাচিত করবেন। তারপর সবকিছু ঠিক থাকলে ২০ এপ্রিল আগামী দুই বছরের নতুন কমিটি বিজিএমইএর দায়িত্ব নেবে। এর আগে রবিবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল রেডিসন ও বিজিএমইএ’র চট্টগ্রাম অফিসে বিরতিহীনভাবে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টায় পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম সম্মিলিত পরিষদের ছয়জন বিজয়ী হয়েছেন। তারা হলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এ এম শফিকুল করিম খোকন, মো. হাসান জেকি, তানভির হাবিব, আহসানুল হক, রাকিবুল আলম চৌধুরী। ফোরামের বিজয়ী তিনজন হলেন এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ আব্দুস সালাম এবং মোহাম্মদ আতিক। নির্বাচনে ঢাকায় ১ হাজার ৮৫৩ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ হাজার ৬০৪ জন। অন্যদিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রে ৪৬১ ভোটের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩৯২ জন। অর্থাৎ গড়ে ৮৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।
জায়ান্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও বাংলাদেশে গ্রিসের সম্মানিত কনসাল জেনারেল ফারুক হাসান এর আগে বিজিএমই-এর পরপর দুবার নির্বাচিত পরিচালক, পরপর দুবার সহ-সভাপতি এবং সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ডাচ-বাংলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিবিসিসিআই) সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।