বরিশাল বিভাগে এ পর্যন্ত মোট ১০১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। যাদের মধ্যে দুইজন ভারতীয় নাগরিকসহ বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীও রয়েছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশি নাগরিকসহ ভিন্ন জেলা (সংক্রমিত) থেকে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রাখার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফলে গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ছয় জেলায় মোট আট হাজার ৯৬৪ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।
যারমধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় আট হাজার ৪০৫ জনকে। এর মধ্যে পাঁচ হাজার ৫০৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে (প্রতিষ্ঠানিক) কোয়ারেন্টিনে ৫৫৯ জন রয়েছেন। এ পর্যন্ত ৩৯৬ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের ছয় জেলায় ১২৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভগের ছয় জেলায় ১৫০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
বিভাগের মধ্যে শুধুমাত্র পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় মোট পাঁচজনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এছাড়া বাকি আট জেলায় ৭৬ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এর বাইরে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ১৬১ জন রোগী আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরমধ্যে ৮১ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানিয়েছেন, বিভাগের মধ্যে এ পর্যন্ত মোট বরিশাল জেলায় ৩৬ জন, পটুয়াখালীতে ২০ জন, ভোলায় দুইজন, পিরোজপুরে সাতজন, বরগুনায় ৩০ জন ও ঝালকাঠিতে ছয়জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ পাওয়া গেছে। এছাড়া বরিশাল জেলায় সাতজন, পিরোজপুরে একজন ও বরগুনায় চারজন রোগী সুস্থ হয়েছেন। যাদের এরইমধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বরিশালের মুলাদীতে একজন, পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলায় একজন, দুমকিতে একজন এবং বরগুনা জেলার আমতলী ও বেতাগীতে একজন করে পাঁচজন করোনায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি।
এমআইপি/প্রিন্স/খবরপত্র