স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলছে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি সহ সকল কার্যক্রম। সম্প্রতি ভারতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায়, করোনা মোকাবিলায় সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন হিলি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। রবিবার (২ মে) সকালে ভারত থেকে প্রবেশ পথ হিলি জিরোপয়েন্ট ও বন্দর ঘুরে দেখা গেছে, জিরো পয়েন্টে বসানো হয়েছে টানেল স্প্রে মেশিন। সেখানে প্রতিটি ভারতীয় পণ্য বাহী ট্রাক চালক- হেলপারকে তার ভিতরে প্রবেশ করানো হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিটি ট্রাক স্প্রে করে করা হচ্ছে এবং থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে চালক হেলপারদের শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয়ে করা হচ্ছে। ভারতীয় চালক-হেলপাদের নিকট থেকে গাড়ি এবং পণ্যের কাগজপাতি সংগ্রহের জন্য অতিরিক্ত জনবল মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে বন্দরের প্রবেশমুখেও থার্মাল স্ক্যানার বসানো রয়েছে। সেখানে প্রবেশের সময় ভারতীয় ট্রাক, দেশি ট্রাক চালক-হেলপার ও শ্রমিকসহ প্রত্যেককে তাপমাত্রা মেপে প্রবেশাধিকার দেয়া হচ্ছে। বন্দর অভ্যন্তরে ভারতীয় চালক-হেলপারদের জন্য আলাদা শৌচাগারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আবার বাংলাদেশি শ্রমিকদের শৌচাগার আলাদা করে দেয়া হয়েছে । সবার মুখে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। হিলি বন্দর অভ্যন্তরে মাইকিং রয়েছে, প্রতিনিয়ত মাইকিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার কথা অবগত করা হচ্ছে। ভারতীয় গাড়ি হতে চালক ও হেলপাররা বন্দরে নামবে না, দেশি শ্রমিকরা তাদের সাথে দুরত্ব বজায় রাখবে। মুখে মাস্ক পরিধান করতে হবে। হিলি পানামা পোর্ট লিংকের গণসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন, পোর্টের সকল শ্রমিক, কর্মচারী-কর্মকর্তারা মাস্ক পরিধান করে অবশ্যই পোর্টে প্রবেশ করতে হবে। মাস্কবিহীন কাউকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। হিলি কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার সাইদুল আলম বলেন, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্দরের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছি। ভারতীয় পণ্য বাহী ট্রাক সকাল থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত বন্দরে প্রবেশ করবে। বিকেল ৪ টা থেকে সোয়া ৬ টার মধ্যে পণ্য আনলোড করে নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে। আবার দেশি ট্রাকগুলো সন্ধ্যা ৭ টার মধ্যে প্রবেশ করবে এবং রাত ৯ টার মধ্যে বন্দরের গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, করোনাকে প্রতিহত করতে বন্দরে আমরা সব ধরনের কার্যক্রম মেনে চলছি। হিলি কাস্টমসের উদ্যোগে সব প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি এর আগে ১২০০ মাস্ক এবং আজকেও ৫০০ মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিটি গেটে শ্রমিকসহ সবাইকে জীবাণুনাশক স্প্রে ও সাবান দিয়ে হাত ধওয়ার ব্যবস্থা করা রয়েছে। আমি আশাবাদী, এভাবে ভারতীয় সহ সবাই বন্দরে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চললে, করোনাকে প্রতিহত করতে পারবো। এতে করে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি করতে করোনার প্রভাব পড়বে না এবং সরকারের রাজস্ব যাথারীতি আদায় করতে সক্ষম হবো।