নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর আমিশাড়াপাড়া ইউনিয়নের অন্তত ১৫টি গ্রামের সাধারণ জনগন মাদক ব্যাবসায়ী অবৈধ অস্ত্রবাজ, চিন্তাইকারী, চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। সন্ধা নামলে সন্ত্রাসের এই জনপদে নামে সুনসান নিরবতা। অপরাধীদের তান্ডবে এক মৃত্যু পুরিতে পরিণত হয় উপজেলার এই ইউনিয়নের বাসিন্দারা। এলাকার চিহ্নিত কয়েকটি সন্ত্রাসী, কিশোর গ্যাং এর নিয়োন্ত্রনে থাকা এই ইউনিয়নের প্রতিনিয়ত সন্ত্রাস হানা হানী খুঁনো খুঁনি নিত্য দিনের ঘটনা। পুলিশের অভিযানে মাঝে মধ্যে দুই একজন সন্ত্রাসী আটক হলেও স্বাক্ষী সাবদের অভাবে অপরাধীরা জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবার মেতে উঠে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে। এ সকল সন্ত্রাসী গ্রুপের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুল্লেই নেমে আসে পাশবিক নির্যাতন, খুনের কান্ড। জানা যায় ইউপির আবির পাড়া কন্ট্রাক্টর ফুল, কাজিরখিল থেকে আবিরপাড়া সড়কে ,বরোপাড়া গ্রামের মধ্য দিয়ে যাওয়া বেজার গাঁও স্কুল সড়ক, ঈদগাও আমিন বাজার সড়ক, আমিশাপাড়া থেকে পদিপাড়া সড়কে সুর্যাস্তের সাথে সাথে কোন মানুষজন চলাফেরা করতে পারে না। এসব সড়কের মোড়ে মোড়ে সন্ত্রাসীরা মাদকের রাজ্য গড়ে তোলেছে। অপরাধীদের প্রত্যেকের রয়েছে আলাদা গ্যাং লিডার। ক্ষমতাসীন দলের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে গ্যাং লিডাররা নিজেদের মাদক বানিজ্য অবাধ রাখতে কিশোরদের হাতে তুলে দিচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র। মাদক সম্রাজ্য নিয়োন্ত্রন নিয়ে মাঝে মাঝে নিজেদের মধ্যে খুঁনো খুঁনির বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। আবার কেউ মাদক বিক্রিতে বাধা হলে প্রাণ হারাতে হয়। গত ৫ মে সন্ধায় মাদক সেবনে বাঁধা দেওয়ায় এলাকার চিহিৃত মাদকসেবী ইশতিয়াক বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে খুন হয় ইউনিয়নের সাত ঘরিয়া গ্রামের লদের বাড়ির শহীদুল ইসলামের ছেলে মাহফুজ(২০) নামে এক যুবক। জানা যায় সম্প্রতি ঘাতক ইশতিয়াক তার ১৫/১৬ জন সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে মাদক সেবন করছিলো। এসময় মাহফুজ প্রতিবাদ করলে তারা হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। মঙ্গলবার সন্ধায় সাতঘড়িয়া বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে ইশতিয়াক পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে মাহফুজকে এলো পাথাড়ী কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিৎ করে ঘটনা স্থল ত্যাগ করে। পরে স্থানীয়রা মাহফুজকে উদ্ধার করে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎক মৃত ঘোষনা করে। এঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে চার জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করলেও পুলিশ ঘাতকদেরকে আটক করতে পারেনি। গত মাসের ২৭ তারিখ সোমবার মধ্যে রাতে আমিন বাজার হইতে বটগ্রাম সড়কে বন্দুক ও কার্তুজসহ টহলরত অবস্থায় পুলিশ দুই মোটর সাইকেল আরোহী আবিরপাড়া গ্রামের সেকান্তর ভূঁইয়া বাড়ীর জয়নাল আবেদীনের ছেলে ফরহাদ (২৩) এবং একই বাড়ীর মৃত নুর উদ্দিনের ছেলে কামাল হোসেনকে(২২) আটক করে। আমিশাপাড়া ইউনিয়ন পরিষোদ চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের সাথে এই বিষয়ে কথা হলে তিনি বিশেষ কোন মন্তব্য করেননী। সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গিয়াস উদ্দিন বলেন, সন্ত্রাসী যেই হউক অবিযোগ পেলে রেহাই দেওয়া হবেনা। পুলিশ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক নিয়োন্ত্রনে বদ্ধপরিকর।