পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিয়ে যা ঘটেছে তা খুব দুঃখজনক ঘটনা, ফরেন মিনিস্ট্রি হিসেবে এটা তাদের সামলাতে হবে। ‘যে ঘটনা ঘটেছে খুব দুঃখজনক ঘটনা। এটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ম্যানেজ করা উচিত। গুটিকয়েক লোকের কারণে এ বদনাম হচ্ছে। অনেকে আমাদের এটি নিয়ে প্রশ্ন করবে। আমরা এ ধরনের ঘটনা চাই না,’ ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মামলায় সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম এখন কাশিমপুর কারাগারে আছেন। আজ বৃহস্পতিবার তার জামিন আবেদন উঠেছে আদালতে। গত সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার কক্ষে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় রোজিনা ইসলামকে আটকে রাখার পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। গত সোমবার রাতেই তার বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের আওতায় মামলা করা হয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। সেই মামলায় তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় নথি চুরি এবং অনুমতি ছাড়া সেই নথির ছবি তোলার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ঘটনাটি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘ থেকেও। উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো সংগঠন। এসব দিকে ইঙ্গিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন এটি নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলবে, যা তার মন্ত্রণালয়কেই সামলাতে হবে। ড. মোমেন বলেন শেখ হাসিনার সরকার সংবাদপত্রবান্ধব সরকার। ‘আমরা কখনো আপনাদের নিষেধ করিনি। আমাদের গোপন করার কিছু নেই। তবে যেহেতু বিচারাধীন, আমি আর কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তবে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়। আশা করি রোজিনা ন্যায়বিচার পাবে।’
ঘটনাটিকে অপ্রত্যাশিত আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যম দেশের জন্য বিরাট কাজ করছে। ‘আপনাদের কারণেই বালিশের কাহিনী, লাখ টাকার সুপারি গাছ কিংবা সাহেদ করিমের তথ্য পেয়েছি এবং সরকারও অ্যাকশন নিয়েছে। আপনারা সরকারকে যথেষ্ট সহায়তা করেছেন,’ উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে বলছিলেন তিনি। সূত্র : বিবিসি