ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই এবং ভবিষ্যতেও তা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল সোমবার (২৪ মে) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তথ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার জন্য বিনামূল্যে লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ি প্রদান (অনলাইনে) ও সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
পাসপোর্ট থেকে ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথম পাসপোর্টে পরিবর্তনটা ইন্টারন্যাশনাল নর্মসের কারণে করা হয়েছে। কোনোভাবেই এতে ইসরায়েলের উল্লসিত হওয়ার কারণ নেই। কারণ ইসরায়েলের সঙ্গে আমাদের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, ভবিষ্যতেও হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আর পাসপোর্টে যা-ই লেখা থাকুক না কেন বাংলাদেশিদের জন্য ইসরায়েল ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। একই সঙ্গে ইসরায়েলি পাসপোর্ট নিয়ে কেউ বাংলাদেশে আসাটাও বন্ধ থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক মুসলিম দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক নাই, তাদের নাগরিকরা ইসরায়েল ভ্রমণ করে না পাসপোর্ট নিয়ে। কিন্তু তাদের পাসপোর্টে সেই কথাটি উল্লেখ নাই, আমাদের পাসপোর্টে যেটি উল্লেখ ছিল। সুতরাং এখানে আমাদের যে নীতি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের যে নীতি, আগ্রাসনের মাধ্যমে মানবতার বিরুদ্ধে যে অপরাধ নিয়মিতভাবে সংগঠিত করে আসছে সেটির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের যে অবস্থান তা একই জায়গায় আছে। বরং সা¤প্রতিক যে ইসরাইলের পক্ষ থেকে যে হামলা হয়েছে বাংলাদেশ আরও সংক্ষুব্ধ হয়েছে, প্রতিবাদ জানিয়েছে।’
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের জামিনের পর মির্জা ফখরুলের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রোজিনা ইসলাম গতকাল মুক্তি পেয়েছে এজন্য সাংবাদিক সমাজের সাথে আমি নিজেও সন্তোষ প্রকাশ করেছি। কিন্তু রোজিনা ইসলামের মুক্তির পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে মনে হচ্ছে রোজিনা ইসলামের মুক্তিতে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি খুশি হয়নি। বরং তারা চেয়েছিল রোজিনা ইসলাম আরও কিছুদিন কারাগারে থাক। তাহলে তো তাদের জন্য রাজনীতি করাটা একটু সুযোগ হতো, সেজন্যই হয়ত তার মুক্তিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খুশি হতে পারেননি। আমার তাই মনে হয়েছে।’
মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী যে সঠিকভাবে জীবন-জীবিকা রক্ষায় দুটিকে সমন্বয় করে দেশ পরিচালনা করছেন সেটিরই বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে করোনাকে আমরা অনেকটা অন্যান্য দেশের তুলনায় নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। পাশাপাশি আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, যেটি ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। এটি প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি, করোনা মহামারির মধ্যে প্রশাসনযন্ত্র, সরকারযন্ত্র সবকিছুকে সচল রাখার জন্যই এটি সম্ভবপর হয়েছে। এটি তার জাদুকরি নেতৃত্বের কারণে এই অর্জন সম্ভবপর হয়েছে।’