পুত্রবধূ নিপুণ রায় চৌধুরীকে নিয়ে গর্ববোধ করেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, দেশ মুক্ত হলে খালেদা জিয়া ও নিপুণও মুক্তি পাবে। শুক্রবার সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘নিপুণের ওপর যে অত্যাচারটা হচ্ছে তা জাস্ট লাইক এ কনডেম সেল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আধা ঘণ্টা বা ১৫ মিনিটের বেশি তার সেলের লক খোলা হয় না। তাই নিপুণের ভবিষ্যতটা যদি মুশতাকের (কারাগারে মারা যাওয়া লেখক মুশতাক আহমেদ) মতো হয়- এটা আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। সেখানে (জেলে) ডাক্তার আছেন, এরা বলবেন, তার স্বাভাবিক মৃত্যু। সুতরাং নিপুণকে কষ্ট দেয়াটা সরকারের পক্ষে যত না দায়িত্ব, তার চেয়েছে বেশি দায়িত্ব তার পার্টনারকে খুশি করাটা। সেই কারণে নিপুণদের ভাগ্য এরকম হবে।’
কারাগারে পুত্রবধূর উপর নির্যাতনের কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ কণ্ঠে গয়েশ্বর বলেন, ‘আমি তাকে আমার কর্মীর মতো মনে করি। আই ফিল প্রাউড। তার মতো কর্মী দরকারই। আর সে যদি দেশের জন্য জীবন দেয়, মুশতাকের মতো ভাগ্য বরণ করে তাহলে আমি চোখের জল ফেলবো না।’
তিনি বলেন, ‘আমি নিপুণের মুক্তির চেয়ে দেশবাসীর মুক্তি, গণতন্ত্রের মুক্তিটাই শ্রেয় মনে করি। আমাদের খালেদা জিয়া তাই দেখেন। আমাদের মরতে হবে, লড়তে হবে, দেশটাকে মুক্ত করতে হবে। দেশ মুক্ত হলে খালেদা জিয়া ও নিপুণও মুক্তি পাবে।’ এসময় কারাবন্দী নিপুণ রায় চৌধুরীর বাবা দলের ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, ‘আমার মেয়ে জেলখানায় অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে আছে। তার জন্ডিস হয়েছে, সেটাও আমাদেরকে জানানো হয়নি। তার সাথে কাউকে দেখা করতে দেয়া হয় না, কথা বলতে পারি না। এই যদি হয় আমাদের দেশের অবস্থা? আমরা কোথায় যাবো? আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, যার হাত ধরে নিপুণ রাজনীতিতে এসেছে, তার সাথেও এরকম অবর্ণনীয় নির্যাতন করা হচ্ছে। আমরা এই অবস্থার থেকে মুক্তি চাই, আমরা তাদের নিঃশর্ত মুক্তি চাই।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, নিপুণ রায় চৌধুরীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদারও বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে দলের কেন্দ্রীয় নেতা রিয়াজ উদ্দিন নসু, তাইফুল ইসলাম টিপু, শেখ রবিউল আলম, শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।