শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::

সরকার প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন, ২০২১

রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতলে চিকিৎসাধীন অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির পাশাপাশি তার উন্নত চিকিৎসার দাবি জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে তিনি এই দাবি জানান। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪২ নং ওয়ার্ডে বেরাইদ এলাকায় বিএনপি মহানগর উত্তরের উদ্যোগে দেশব্যাপী বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া করোনা হওয়ার পরে তাকে এভার কেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। আল্লাহর রহমতে কোভিডের যে আক্রমণ সেখান থেকে তিনি বেরিয়ে এসেছেন। কিন্তু দীর্ঘ ৪ বছর তার চিকিৎসা না হওয়ার কারণে, কারাগারে রাখার কারণে তিনি অনেকগুলো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে প্রথম তার হার্টে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তার কিডনি ও লিভারে সমস্যা তৈরি হয়েছে এবং তার একটা পুরনো অসুখ যেটা তাকে অত্যন্ত কষ্ট দেয়- আর্থারাইটিসও রয়েছে। এই সবগুলো মিলিয়ে উনি অত্যন্ত অসুস্থ আছেন।
ডাক্তাররা বলছেন, তিনি অত্যন্ত ভারনারেবল আছেন। তিনি বলেন, আপনারা জানেন, উনার পরিবার আবেদন করেছেন সরকারের কাছে, তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হোক। এই সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে। তাকে সেই সুযোগ দেয়নি। সরকারকে আহবান জানাবো, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে এই মহান নেত্রীকে যিনি গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন, তিন বারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং দেশকে উন্নত করার জন্য তার বহু অবদান রয়েছে সেই নেত্রীকে তার সুচিকিতসার ব্যবস্থা করা হোক, তাকে মুক্তি দেয়া হোক। তাকে অন্যায় ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে।
দেশবাসীর কাছে তার আশু আরোগ্য কামনায় দোয়া চেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। পোস্ট কোভিড নানা জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়া বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই হাসপাতালে ভর্তির ৬ দিন পওে (৩ মে) শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তাকে সিসিইউতে থাকতে হয়েছে এক মাস। পরে অবস্থার উন্নতি হলে গত ৩ জুন বিশেষ কেবিন ফিরিয়ে আনা হয় তাকে। গত ১০ এপ্রিল গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা‘য় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। করোনামুক্ত হন ৯ই মে। বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স জানান, আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। প্রতিটি জেলায় পাঁচ হাজার করে নিমগাছ রোপন করতে প্রতিটি জেলা ও মহানগর নেতাদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সাথে নিমগামের উপকারী কী সে সম্পর্কে একটি লিফলেটও বিতরণ করতে বলা হয়েছে। মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুন্সী বজলুল বাছিত আনজুর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম নকির পরিচালনায় এতে অংশ নেন বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সহ-সম্পাদক রওনাকুল ইসলাম টিপু, মহানগর উত্তরের এজিএম শামসুল হক, তুহিরুল ইসলাম তুহিন, আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com