মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা সরকারের সবচেয়ে বড় ভুল: ডা.জাফরুল্লাহ

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৯ জুন, ২০২১

সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে রেখে জাতিকে মেরুদ-হীন করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, এ সরকারের সবচেয়ে বড় ভুল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা। বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নেবে কিন্তু হল খুলবেন না। এর থেকে বড় ভুল কি হতে পারে? ছাত্ররা কি মাঠে থাকবে? মাটিতে বসে থাকবে? গতকাল শনিবার (১৯ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষক-কর্মচারী-অবিভাবক ফোরাম আয়োজিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সংসদে আজ পরীমনি নিয়ে আলোচনা হয় কিন্তু শিক্ষা নিয়ে একটা কথাও হয় না। এই লজ্জা আমরা কোথায় রাখি? এই ভুলের সংশোধন কীভাবে হবে? এই ভুলের সংশোধন তারা (সরকার) করবে না। বর্তমান সরকার বিনা ভোটের সরকার, ভোট ডাকাতির সরকার। এই সরকারের সব সিদ্ধান্ত ভুল হবে, এটায় স্বাভাবিক। আজ সব কিছু খোলা। বাজার খোলা, ব্যাংক খোলা, অফিস খোলা। শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ।
তিনি বলেন, আগে গ্রামের ছেলে-মেয়েরা শিক্ষা পেত। আমাদের আমলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে মাত্র ৮ জন ঢাকা শহরের ছিলাম। বাকি সবাই গ্রাম থেকে এসেছিল। তারা আমাদের থেকে পরীক্ষায় ভালো করে। আজ সেই সুযোগ নেই।
মানববন্ধনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে নাগরিকের ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, উনি জানেন আজ যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়, যদি হলগুলো খুলে দেওয়া হয় তাহলে হলে বিরোধীদলীয় ছাত্ররা ডুকবে। তখন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ থাকতে পারবে না, ডিবির লোক থাকতে পারবে না। সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠনানে বিরোধী দলীয় প্রগতিশীল ছাত্রদের দখলে যাবে। তারা বলবে ভোট চাই, শিক্ষা চাই, ওষুধ চাই, টিকা চাই। করোনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চাই, আমরা গরিব মানুষের মুক্তি চাই, অর্থ চাই, অন্ন চাই। কিচ্ছু দিতে পারবে না এরা (সরকার)। এই কারণে আমরা যতই কথা বলি-না-কেনো ওরা (সরকার) কোনো দাবি মানবে না।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের সরকার নয়। জনগণের সরকার হলে জনগণের কথা ভাবত। এক সময়ে অত্যাচারী রাজারা চাইত না তার রাজ্যের লোকেরা শিক্ষিত হোক। তারা মনে করত জনগণ শিক্ষিত হলে তারা রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে। শেখ হাসিনা ভাবছে জনগণ শিক্ষিত হলে তার বিরুদ্ধেও জনগণ বিদ্রোহ করবে। এই কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর আ ন ম এহসানুল হক মিলন, বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, শিক্ষক-কর্মচারী-অবিভাবক ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম ভুঁইয়া প্রমুখ।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com