মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

করোনাকালেও চলছে পাঠশালা

আপেল মাহমুদ রুহিয় (ঠাকুরগাঁও) :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২০ জুন, ২০২১

ঠাকুরগাঁও সদরের রুহিয়া মধুপুর গ্রামে তাবু খাটানো যাযাবর দলের মানুষদের ঝড় বৃষ্টি নিয়ে মাথা ব্যথা না থাকলেও সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আছে উদ্বেগ। তাইতো বেঞ্চ চেয়ার টেবিল ছাড়াই খোলা আকাশের নিচেই চলে তাদের পাঠদান। সারা বছরই দলবেঁধে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে বেড়ান যাযাবরেরা। সুবিধামতো জায়গা পেলে পলিথিনের তাবু খাটিয়ে থেকে যান কিছুদিনের জন্য, ভাসমান এই মানুষদের যেমন নেই কোন ঠিকানা তেমনি হয়নি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পড়ার সুযোগ। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঘুরে বেড়ানো মানুষ গুলো এমন জীবন যাপনে অভ্যস্ত হলেও স্বপ্ন দেখেন পরিবর্তন আসবে সন্তানের জীবনে। পাঠাগারের একজন শিক্ষার্থীর মা লাকি আক্তার বলেন, আমি পড়ালেখার সুযোগ পাই নাই, আমার মেয়ে পড়ালেখা করতেছে এতে ভালো লাগতেছে। বেদে দলটির ইমাম আব্দুর রব জানান, আমরাতো বেদে সম্প্রদায় লোক, আমাদের মাঠে ঘাটে পরে থাকতে হয়। কেন না আমাদের জীবন যেভাবে নষ্ট হয়েছে এটাতো হয়েই গেছে। আমরা তো চাইনা যে আমাদের বাচ্চাদের জীবন এভাবে নষ্ট হোক। তবে আমরা আমাদের বাচ্চাদের জন্য পড়ার একটা ব্যবস্থা করছি। আপেল মাহমুদ স্থানীয় এক শিক্ষানুরাগী গিয়েছেন তাদের পাঠদান দেখতে, তিনি বলেন, বেদে সম্প্রদায় একটি যাযাবর জনগোষ্ঠী। দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে তারা অস্থায়ী ভাবে বসবাস করে। সে কারনে তাদের বাচ্চাদের পড়াশোনার সুযোগ থাকেনা। আজকে তাদের এই পড়াশোনার ব্যবস্থা দেখে আমি অনেক আনন্দিত। শত প্রতিকূলতার মাঝেও অক্ষর জ্ঞানহীন থাকছেনা যাযাবর দলের শিশুরা। ভোরের আলো ফুটতেনা ফুটতেই বই খাতা হাতে তাবু ছেড়ে পাঠশালার পাটিতে বসে পরে শিশুরা। চোখেমুখে উপচে পরে উচ্ছ্বাস আর জানার আগ্রহ। অনেক নেই এর মাঝেও ব্যতিক্রম এই পাঠশালায় আছে উদ্যমী শিক্ষক আর উচ্ছাসি একদল শিক্ষার্থী। পাঠশালার শিক্ষার্থী পুতল জানায়, আমাদের পাঠশালায় অনেক কিছু শিখেছি অ, আ শিখেছি ছড়াও শিখেছি। পাঠশালার শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলছেন, আমরা বেদে বহর নিয়ে যেখানেই যাই প্রতিদিন কাজের ফাঁকে যে সময় পাই ওই সময় থেকে এক দেড় ঘন্টা বাচ্চাদের লেখাপড়া শিখাই। এই ভ্রাম্যমান পাঠশালা, যেন যাযাবরদের গন্তব্যহীন যাত্রা সাথী। বেদে দলটির সর্দার নবীর উদ্দিন বলেন, অক্ষর জ্ঞানহীন মানুষ পৃথিবীতে অচল। তাই বাচ্চাদের এতটুকু শিখিয়ে দিতে পারলেই তারা চলে ফিরে খেতে পারবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com