সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম বাংলাদেশি মারা গেছেন। তার মৃত্যুর পর জানা গেছে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। করোনায় আক্রান্ত হয়ে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের বেশিরভাগ বয়স ৬০ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে।
সিঙ্গাপুরে করোনা পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে আগামী ৫ এপ্রিল থেকে সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের জন্য লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আজ আরও ৭৯ জন চিকিৎসা সেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ১৩৪৭ জন। এদিকে দেশটিতে নতুন করে আরও ৪৪৭ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৭৫৪৮ জন৷
এছাড়া শনিবার দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তারমধ্যে একজন বাংলাদেশি নাগরিক, অন্যজন সিঙ্গাপুরের। দেশটির সরকার আশা প্রকাশ করছেন খুব দ্রুত ভাইরাসের আক্রমণ নিয়ন্ত্রণ হবে এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে৷
সিঙ্গাপুরে অভিবাসীদের থাকার জায়গা ডরমেটরিগুলো এখন সবচেয়ে বড় ক্লাস্টারে পরিণত হয়েছে। S11 পংগল ডরমেটরি থেকে এখন পর্যন্ত ২৪৭৭ জন করোনায় শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়া আজকে আরও নতুন ৫টি ক্লাস্টার চিহ্নিত করা হয়েছে।
করোনায় আক্রান্তের মধ্যে কোনো বিদেশফেরত নেই৷ ৪ জন সিঙ্গাপুরিয়ান নাগরিক, ৪৩১ জন ওয়ার্ক পাশ হোল্ডার ডরমেটরিতে অবস্থান করত এবং ১০ জন ওয়ার্ক পাশ হোল্ডার ডরমেটরির বাইরে বাস করত৷ তবে করোনাভাইরাসে যারা পজিটিভ হয়েছেন তাদের বেশিরভাগ শারীরিক অবস্থা ভালো৷
১৭১০ জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এরমধ্যে ২৪ জনের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে৷ ১৪৪৭৪ জনের অবস্থা ক্লিনিক্যালি ভালো কিন্তু পরীক্ষায় করোনাভাইরাস পজিটিভ হওয়ায় তাদেরকে অন্য রোগীদের কাছ থেকে আলাদা রাখা ও যত্নের জন্য অন্যত্র সরিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে৷
এমআর/প্রিন্স