সারাদেশে ব্যাটারীচালিত রিকশা ও ভ্যান বন্দের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রোববার (২০জুন) দুপুরে সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের সড়ক পরিবহন টাস্কফোর্স এর সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভ্যান ও রিকশা চালকেদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, বর্তমান দেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে মুক্ত স্বাধীন মত প্রকাশ করতে হলে অনেক হিসাব-নিকাশ করতে হয়। তাই উপরোক্ত বিষয় বিষাদভাবে ব্যাখা না গিয়ে সংক্ষিপ্ত পরিসরে বলতে চাই। আইন প্রণেতারা আইন প্রণয়ন করেন এসিরুমে বসে। সাধারন জনগনের কথা বিবেচনা না করে। মাত্র ৭বছর আগে একজন ভ্যান-রিকশা চালকের দীর্ঘস্বাশে শব্দ হয়তো সংশ্লিষ্টদের কর্নভেদ করতে পারে নাই। আগে একজন ভ্যান বা রিকশা চালকের প্রতিদিন আয় ছিল ২০০ থেকে ৩০০শত টাকা। এখন একজন ভ্যান-রিকশা চালকের প্রতিদিন আয় হয় ১২০০ থেকে ১৫০০শত টাকা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল এদেশের মানুষের দারিদ্রের কষাঘাত থেকে কবে মুক্তি পাবে, বাঙ্গালী হবে ক্ষুদামুক্ত। জাতির পিতা সেই স্বপ্ন বাস্তবে রুপ দিয়েছে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। এ দেশের হাল ধরার পরে এখন আরকোন ভ্যান-রিকশা চালক না খেয়ে থাকেনা বা পাশের বাড়ীর লোকের কাছে খাওয়ার জন্য কড়া নাড়তে হয়না। বর্তমানে সূখেই আছে ভ্যান রিকশা চালকের পরিবার। কিন্তু আইনটি যদি বাস্তবায়ন হয় তাহলে অগনিত ভ্যান ও রিকশা চালকদের সুখের ঘরে আবার আসবে দু:খের ভয়ল থাবা। বিপদগ্রস্থ হয়ে পড়বে অসংখ্য পরিবার। ফলে বেকারত্বের কারনে সমাজে বাড়বে অন্যায়, দুর্নিতী ও অপরাধ মূলক কর্মকান্ড। স্থানীয় ভ্যান ও রিকশা চালকগন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেরনিকট দাবীজানান যাতে ব্যাটারী চালিত ভ্যান ও রিকশা বন্দ না করেন।